নির্বাচন কমিশনের ভাষ্য, ইসলামী আন্দোলনের সমর্থকরা দলীয় প্রতীক সম্বলিত টিশার্ট ও নির্বাচনী প্রতীক ব্যবহার করে আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন।
Published : 10 May 2023, 08:32 PM
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র পদপ্রার্থী মুফতি সৈয়দ মো. ফয়জুল করীম আচরণবিধি ভঙ্গের জন্য ক্ষমা চেয়ে ভবিষ্যতে বিধি মেনে চলার অঙ্গীকার করেছেন।
বুধবার দুপুরে রির্টানিং কর্মকর্তার দপ্তরে হাজির হয়ে তিনি মৌখিক ও লিখিতভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেন বলে জানান সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান।
তিনি বলেন, গত ৩ মে ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী হিসেবে মুফতি সৈয়দ মো. ফয়জুল করীমের পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন এইচএম হাসানুজ্জামান। গত ৮ মে বরিশালে আসেন মেয়র প্রার্থী। তার আগমন উপলক্ষ্যে বরিশাল সিটিতে মোটরসাইকেল, পিক-আপ, মাইক্রোবাস ইত্যাদি যানবাহন ব্যবহার করে ব্যাপক ‘শোডাউন’ করা হয়।
এ সময় ইসলামী আন্দোলনের সমর্থকরা দলীয় প্রতীক সম্বলিত টিশার্ট ও নির্বাচনী প্রতীক ব্যবহার করেন জানিয়ে এ কর্মকর্তা বলেন, এর মাধ্যমে নির্বাচনী আচরণবিধির ৫, ৭ (ক), ১১(২) ও ১৩ (ক) ধারা লঙ্ঘন করা হয়।
মো. মনিরুজ্জামান বলেন, নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা পরিপন্থী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মুফতি সৈয়দ মো. ফয়জুল করীমকে রির্টানিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে স্শরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিত ও মৌখিক ব্যাখা দিতে বলা হয়।
“শারীরিক অসুস্থতার কারণে নির্ধারিত সময়ের পর দুপুর সাড়ে ১২টায় তিনি হাজির হন।”
মনিরুজ্জামান বলেন, এ সময় আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী লিখিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন বলে জানান সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, তার পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হলেও এখনও দলের প্রার্থিতার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি।
“এ ছাড়া আচরণবিধি সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান না থাকায় তার দ্বারা বিধি ভঙ্গ হয়েছে জানিয়ে তিনি লিখিত ও মৌখিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। ভবিষ্যতে আচরণবিধি লঙ্ঘন করবেন না বলেও অঙ্গীকার করেন।”
এর আগে সকাল ১০টার দিকে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত বক্তব্য নিয়ে হাজির জন সৈয়দ মো. ফয়জুল করীমের প্রতিনিধি মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন। কিন্তু প্রতিনিধির কাছ থেকে লিখিত বক্তব্য গ্রহণ করেননি বরিশাল সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও খুলনার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির। এরপর দুপুরে কার্যালয়টিতে যান প্রার্থী।
নির্বাচন কার্যালয় থেকে বের হয়ে ফয়জুল করীম বলেন, “আমি জানতাম আমার তরফ থেকে লিখিত ব্যাখ্যা দিলেই চলবে, কিন্তু কর্মকর্তারা বলেছেন আমাকে উপস্থিত হতে হবে। তাই অসুস্থ অবস্থাতেই উপস্থিত হয়েছি।
“আমাদের ব্যাখ্যায় বা আমরা যে আর্জি পেশ করেছি তাতে নির্বাচন কর্মকর্তারা সন্তুষ্ট।”
এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির বলেন, “ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী অঙ্গীকার করেছেন যে তিনি সব আচরণবিধি পুরোপুরি মেনে চলবেন। প্রচারসহ সব কার্যক্রম নির্বাচনী আইনকানুনের মধ্যে থেকে চালাবেন বলেও কথা দিয়েছেন।”