বগুড়ায় ছাত্রলীগ নেতাদের উপর ‘পদবঞ্চিতদের’ হামলা, আহত ৭

গত ৭ নভেম্বর বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণার পর থেকেই ছাত্রলীগের একাংশ বিক্ষোভ শুরু করে।

বগুড়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Dec 2022, 05:03 AM
Updated : 4 Dec 2022, 05:03 AM

বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির নেতাদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে পদবঞ্চিতদের বিরুদ্ধে।

বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজের অধ্যক্ষের বাসভবনের অদূরে শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ হামলার ঘটনায় সাত জন আহত হয়েছেন বলে নবগঠিত বগুড়া জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আল মাহিদুল ইসলাম জয় জানিয়েছেন।

আহতদের মধ্যে দুজনের পরিচয় জানা গেছে। এরা হলেন-নবগঠিত জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান এবং শহর কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান সাব্বির।

আতিকুরকে গুরুতর অবস্থায় বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নতুন কমিটির নেতারা জানান, গত ৭ নভেম্বর সজীব সাহাকে সভাপতি ও আল-মাহিদুল ইসলাম জয়কে সাধারণ সম্পাদক করে বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের ৩০ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের স্বাক্ষরিত চিঠিতে এক বছর মেয়াদী এ কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।

কমিটির ঘোষণার পর কাঙ্ক্ষিত পদ না পেয়ে জেলা ছাত্রলীগের একাংশ বিক্ষোভ শুরু করে এবং জেলা ছাত্রলীগের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়। ফলে নবগঠিত কমিটির নেতারা এখনও ছাত্রলীগের জেলা কার্যালয়ে প্রবেশ করতে পারেনি।

নতুন কমিটির সাধারণ সম্পাদক আল মাহিদুল ইসলাম জয় বলেন, সভাপতি সজীব সাহা এবং তিনি নেতা-কর্মীদের নিয়ে সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মোটরসাইকেলে করে সরকারি আজিজুল হক কলেজের অধ্যক্ষের বাসায় যান। তারা দুজন নেতা-কর্মীদের বাইরে রেখে অধ্যক্ষের বাসভবনে প্রবেশের কিছুক্ষণ পর কমিটি বাতিলের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারি তৌহিদুর রহমান এবং মাহফুজার রহমানের নেতৃত্বে ১৫-১৬ জন লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে ক্যাম্পাসে ঢোকে।

তারা অধ্যক্ষের বাসার বাইরে অপেক্ষমান নেতা-কর্মীদের ওপর চড়াও হয় এবং তাদের ১৫টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ বিষয়ে সরকারি আজিজুল হক কলেজের অধ্যক্ষ শাহজাহান আলী বলেন, “আমার বাসভবনের বাইরে বহিরাগতরা এসে গোলমাল করায় আমি পুলিশকে খবর দেই।”

তবে জেলা ছাত্রলীগের কমিটি বাতিলের দাবিতে আন্দোলরত মাহফুজার রহমান হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমরা কয়েক দিন আগে ক্যাম্পাসে ছাত্রদল ও শিবিরকে ধাওয়া করেছিলাম। রাতে আমরা খবর পাই যে, ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে যাওয়া ছাত্রদল ও শিবিরের নেতাকর্মীরা প্রতিশোধ নিতে ক্যাম্পাসে এসেছে। তখন আমরা তাদের প্রতিহত করতে যাই।”

বগুড়া সদর থানার এসআই মঞ্জুরুল হক ভূঁইয়া বলেন, তারা সরকারি আজিজুল হক কলেজ ক্যাম্পাসে যাওয়ার আগেই হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে বাকি নেতা-কর্মীদেরও বের করে দেওয়া হয়।

তবে হামলার ঘটনায় এখনও কেউ থানায় অভিযোগ করেনি বলে জানান তিনি।