ঘাটের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে শ্রমিকদের দুই পক্ষের দ্বন্দ্বে ভোলা-বরিশাল রুটে স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে স্বাভাবিক রয়েছে লঞ্চ চলাচল।
মঙ্গলবার সকাল থেকে ভেদুরিয়া ঘাট থেকে স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রয়েছে বলে ভোলা স্পিডবোট মালিক সমিতির সভাপতি মোসলে উদ্দিন পাটোয়ারি জানান।
ভোলার ভেদুরিয়া ঘাটের স্পিডবোট চালকরা জানান, ভেদুরিয়া থেকে বরিশাল ও লাহারহাট এবং বরিশাল থেকে ভেদুরিয়া রুটে প্রতিদিন শতাধিক স্পিডবোট চলে। মাত্র ৪৫ মিনিটে পারাপার হওয়া যায় বলে এই নৌপথের অধিকাংশ যাত্রী এ নৌযানকে প্রাধান্য দেন।
গত তিনদিন ধরে ঘাটের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে স্পিডবোট শ্রমিকদের দু-পক্ষের দ্বন্দ্ব চলছে। ফলে নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে মালিক পক্ষও বোট বন্ধ রেখেছেন।
তবে স্পিডবোট শ্রমিকদের দ্বন্দ্ব কি নিয়ে সে বিষয়ে কেউ কথা বলতে রাজি হননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভোলা স্পিডবোট মালিক সমিতির সভাপতি মোসলে উদ্দিন পাটোয়ারি বলেন, “ভেদুরিয়া ঘাটে কোনো সমস্যা নেই। তবে বরিশালের ঘাটে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা রয়েছে। তারা বোট চলাচল করতে নিষেধ করেছে, তাই আমরাও বোট চালাচ্ছি না। ”
“আমাদের বৈধ কাগজপত্র ও লাইসেন্স থাকার পরও আমরা বোট চালাতে পারছি না। তবে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে বলে শুনেছি।”
ভোলা নদী বন্দরের সহকারী পরিচালক (বিআইডব্লিটিএ) শহিদুল ইসলাম বলেন, বরিশাল ঘাটে বোট চলাচল নিয়ে দুই পক্ষের দ্বন্দ্বে স্পিডবোট বন্ধ রয়েছে বলে তিনি শুনেছেন। কিন্তু বিআইডব্লিটিএ বোট চলাচলে কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি।
তবে ভোলা-বরিশাল রুটে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান তিনি।
স্পিডবোট বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। ইব্রাহিম আকাশ নামের এক সাংবাদিক বলেন, তিনি ডাক্তার দেখাতে বরিশাল গিয়েছিলেন । স্পিডবোট বন্ধ থাকায় ভোলা আসতে পারেননি।
তাকে বাধ্য হয়ে বরিশালে হোটেলে রাত্রিযাপন করতে হয়েছে। তার একটি দিন নষ্ট হয়েছে এবং অতিরিক্ত দুই হাজার টাকা খরচ হয়েছে বলে জানান।
লালমোহন উপজেলার জহির বাবুল বলেন, বুধবার বিকালের মধ্যে তার বরিশালে পৌঁছানোর কথা থাকলেও স্পিডবোট বন্ধ থাকায় যেতে দেরি হয়। ডাক্তারের সিরিয়াল না পেয়ে পরদিনের জন্য বরিশাল থাকতে হয়েছে। ফলে অতিরিক্ত খরচ হয়েছে।