“আমরা জনগণের জানমাল নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেব না।”
Published : 26 Dec 2023, 05:50 PM
নির্বাচনের সময়টাতে প্রয়োজনে রেললাইনে পাহারা দেওয়ার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সরকারপ্রধান বলেন, “আমরা মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করি। দিনরাত কাজ করি মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য। সেখানে তারা আসে ধ্বংস করার জন্য। এদের ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
“প্রয়োজনে বাড়ির কাছে রেললাইন থাকলে পাহারা দিতে হবে। কোনো বাস-গাড়িতে কেউ আগুনে দিতে গেলে ধরে ফেলতে হবে। জনগণকেই এটা প্রতিহত করতে হবে।”
মঙ্গলবার বিকালে রংপুরের পীরগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নির্বাচনি জনসভায় শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
রংপুর সফরের দিন প্রধানমন্ত্রী পীরগঞ্জে লালদীঘির ফতেপুরে শ্বশুর, শাশুড়ি, ভাসুর ও স্বামী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার কবর জিয়ারত করেন।
দুপুরে তারাগঞ্জে রংপুর-২ আসনের প্রার্থী আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক এবং মিঠাপুকুরে রংপুর-৫ আসনের প্রার্থী রাশেক রহমানের নির্বাচনি প্রচারে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী।
সেখান থেকে তিনি ফের সড়কপথে পীরগঞ্জের ফতেহপুরে ফেরেন এবং শ্বশুরবাড়িতে দুপুরের আহার গ্রহণ করেন। পরে তিনি পীরগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে রংপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সমর্থনে জনসভায় যোগ দেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, “মানুষের জন্য আমরা রাজনীতি করি। মানুষকে হত্যা করে, মানুষ খুন করে কী আন্দোলন? প্রত্যেককে সজাগ থাকতে হবে। অগ্নি-সন্ত্রাস যারা করতে আসবে, তাদের সঙ্গে সঙ্গে ধরে শাস্তি দিতে হবে, পুলিশে দিতে হবে।
“আমরা জনগণের জানমাল নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেব না। আমরা মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছি।
শেখ হাসিনা বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকারে আসে জনগণের সেবা করতে। জাতির পিতাকে হত্যা করে যারা ক্ষমতায় এসেছিল, তারা এসেছিল লুটপাট করতে। লুটপাট, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক এগুলোই ছিল তাদের কাজ। তারা মানুষের কল্যাণে কোনো কাজ করেনি।
“শিক্ষায়-দীক্ষায় সব দিকে দিয়ে মানুষ এগিয়ে যাচ্ছে। সব থেকে বেশি মঙ্গা পীড়িত এলাকা এই রংপুর, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর আর কোনো দিন মঙ্গা হয়নি। এই ব্যাপারে আপনাদের সাহায্য দরকার। আপনাদেরও নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে”, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর আগে ২০১৮ সালের ২২ ডিসেম্বর তারাগঞ্জ ও পীরগঞ্জে একই মাঠে জনসভা করেছেন। সর্বশেষ এ বছরের ২ অগাস্ট রংপুর জিলা স্কুল মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভায় বক্তব্য দেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ডিসি মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান বলেন, রংপুর জেলার ছয়টি আসনে দলীয় ও স্বতন্ত্র মিলে ৩৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে রংপুর-১ আসনে নয়জন, রংপুর-২ আসনে তিনজন, রংপুর-৩ আসনে ছয়জন, রংপুর-৪ আসনে তিনজন, রংপুর-৫ আসনে আটজন এবং রংপুর-৬ আসনে সাতজন প্রার্থী।
নির্বাচনি তফসিল অনুযায়ী, ভোটের প্রচার ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত চলবে। ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।