টাকার বিনিময়ে কমিটি দেওয়ার অভিযোগ উপজেলা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে

টাকার বিনিময়ে কমিটি দেওয়ার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন বলে জানান জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।

পঞ্চগড় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Dec 2022, 06:31 PM
Updated : 4 Dec 2022, 06:31 PM

পঞ্চগড়ে মাঝরাতে টাকার বিনিময়ে ১০টি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটির অনুমোদনের অভিযোগ উঠেছে সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে। 

রোববার দুপুরে পঞ্চগড় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলন এ অভিযোগ তোলেন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ছাত্রলীগ নেতারা। 

এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের পদত্যাগী সভাপতি তাপস চন্দ্র রায় এবং সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন।

তারা বলেন, গত ২৫ নভেম্বর মাঝরাতে কোনো ধরনের পূর্ব প্রস্তুতি ছাড়াই টাকার বিনিময়ে ১০টি ইউনিয়নের নতুন কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বর্তমান কমিটিকে না জানিয়ে, ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এসব কমিটি অনুমোদন দেন সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক। 

যেখানে পদ পেয়েছেন স্কুলের শিক্ষার্থী, বিবাহিত, ইউনিয়ন নির্বাচনে নৌকার বিরোধিতাকারী, অছাত্র, মাদকাসক্ত এবং জামায়াত-বিএনপি পরিবারের সন্তানরা। 

সদ্য পদত্যাগী তাপস চন্দ্র বলেন, “এসব অনিয়মের প্রতিবাদে আমি কমিটি অনুমোদনের পরপরই পদত্যাগ করি।” 

এ সময় তারা সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে অবিলম্বে ১০টি ইউনিয়নের কমিটি বিলুপ্ত করে ঢেলে সাজানোর দাবি জানান। 

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপজেলার অমরখানা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি নাহিদ নেওয়াজ কাজল, সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলাম বিপুল, হাফিজাবাদ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মোনায়েম আহসান প্রধান মুনিফ, কামাতকাজলদিঘী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আরিফ ফয়সালসহ ১০টি ইউনিয়নের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ছিলেন।

এ বিষয়ে সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফুজ্জামান আরিফ বলেন, তারা ভিত্তিহীন ও বানোয়াট অভিযোগ এনেছে। ইউনিয়নের কমিটি ঘোষণা সম্পর্কে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক জানেন। 

“যারা বর্তমান কমিটিতে পদ পাননি তারাই এ ধরনের অভিযোগ করে বেড়াচ্ছেন।” 

নতুন কমিটিতে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে পদ দেওয়া হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, “এখানে অনিয়মের সুযোগ নেই।” 

এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আবু নোমান হাসানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। 

তবে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান সাদিক পাটোয়ারি প্লাবন বলেন, “আমরা জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া কোনো ইউনিয়নে কমিটি গঠন বা বাতিল না করার নির্দেশনা দিয়েছিলাম। কিন্তু রাতারাতি ১০ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। 

“টাকার বিনিময়ে এসব কমিটি করা হয়েছে বলে আমিও শুনেছি।

আমাকে একটি লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা। অভিযোগটি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ বরাবরে পাঠানো হবে।”