সিলেটের নবনির্মিত কদমতলী বাস টার্মিনালের ত্রুটি তদন্তে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করেছে সিলেট সিটি করপোরেশন।
শনিবার বিকালে সংবাদ সম্মেলনে এসে আগামী ১০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা জানান সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
মেয়র বলেন, “দেশের সবচেয়ে আধুনিক সিলেট বাস টার্মিনালের একটি অংশে ত্রুটি ধরা পড়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে তা পরিদর্শন করেছি। এ নিয়ে জনমনে কোনো বিভ্রান্তি যেন না ছড়ায় তার জন্য বিশেষজ্ঞদের দিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেদিন প্রতিবেদন পাওয়া যাবে সেদিন গণমাধ্যমকর্মীদের সামনেই তা প্রকাশ করা হবে।”
আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, প্রতিবেদন পাওয়ার পর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এখনও সিসিকের কাছে এ প্রকল্পটি নির্মাণ সংস্থা হস্তান্তর করেনি। উদ্বোধনের জন্য অপেক্ষমান বাস টার্মিনালটিতে সুযোগ-সুবিধা ঠিক আছে কি-না তা পর্যবেক্ষণের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে সেবা প্রদান শুরু হয়েছে।
সরকার ও বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সিলেট সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে এ প্রজেক্টটির কাজ চলছে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীনে আরও নয়টি প্রকল্পের জন্য আবেদন করা হয়েছে জানিয়ে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র বলেন, “প্রধানমন্ত্রী সিলেটের উন্নয়নে এক হাজার ২২৮ কোটি টাকা বিল পাশ করেন। এর মধ্যে ৮০ শতাংশ সরকার এবং বাকি ২০ শতাংশ সিলেট সিটি করপোরেশনের নিজস্ব অর্থায়ন থেকে।“
সিলেটের খাবার পানির সংকট নিয়ে মেয়র বলেন, “সিলেটে যে পানি উত্তোলন হয় তা চাহিদার তুলনায় অনেক কম। সরকার যদি আরও একটি ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট তৈরি করে দেয় তাহলে পানির চাহিদা মেটানো সম্ভব।”
এক মাসের মধ্যে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির কাজ শেষ হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “সিলেটের পানির লাইনগুলো ৩০ থেকে ৪০ বছরের পুরনো। তাই বিভিন্ন জায়গায় ছিদ্র হয়ে পানি বের হয়ে রাস্তা নষ্ট হচ্ছে। ছিদ্রগুলো সংস্কার না করে নতুন পিভিসি পাইপ দিয়ে পানির লাইন টানা হচ্ছে।”