বগুড়া মেডিকেলে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৮

নবাগতদের নিজ নিজ গ্রুপে যুক্ত করাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্বের শুরু হয়, বলে জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

বগুড়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 March 2023, 05:46 AM
Updated : 30 March 2023, 05:46 AM

বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত আট নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। 

মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসে বুধবার রাত ১০টা থেকে রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন বগুড়া ছিলিমপুর মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আনিছার রহমান।

শিক্ষার্থীদের বরাতে পুলিশ জানায়, ভর্তি হতে আসা শিক্ষার্থীদের নিজের ‘গ্রুপে যুক্ত করা’কে কেন্দ্র করে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আসিফ ও সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন রনির অনুসারীদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। 

এই সময় ছাত্রবাসের নিচতলার অন্তত পাঁচটি কক্ষ ভাঙ্চুর করেছে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা। 

আহতরা হলেন,  ধ্রুব, অনিক, শুভ, হৃদয়, ইমতিয়াজ, রেজা, ফুয়াদ ও অমিও। তারা মেডিকেল কলেজের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। 

ছাত্রাবাসে থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, ২০২৩ সালে মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পাওয়া (৩২ ব্যাচের) শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ভর্তি হতে এসেছে।

এই নবাগতদের নিজ নিজ গ্রুপে যুক্ত করাকে কেন্দ্র করে বুধবার সন্ধ্যা থেকে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। দ্বন্দ্বে জড়ানো সবাই ৩১ ব্যাচের শিক্ষার্থী।

একপর্যায়ে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রাত ১০টার দিকে তাদের মধ্যে প্রথমে হাতাহাতি হয় ও পরে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর আসিফ বলেন, “জুনিয়ররা ক্যাম্পাসে আসার পর তাদের থাকা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। তবে সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা আমার কর্মীদের ওপর অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছেন।

“এতে চারজন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের মধ্যে তিনজন গুরুতর জখম পেয়েছেন। সংঘর্ষের সময় আমি ক্যাম্পাসে ছিলাম না৷”

শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন রনি জানান, “সভাপতির গ্রুপের নেতা-কর্মীরা প্রথম আমার নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। পরে শিক্ষকরা এসে আমাদের উভয় পক্ষকে নিয়ে মীমাংসা করে দিয়েছেন।

“এই নিয়ে দ্বন্দ্বের কিছু নেই। জুনিয়রদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি থেকে এর সূত্রপাত হয়েছে। ঘটনার সময় আমি সেখানে ছিলাম না। আমার চার কর্মী আহত অবস্থায় হাসপাতালে আছেন। 

মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউল ইসলাম জুয়েল বলেন, “ছাত্রদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি থেকে এই ঘটনা ঘটেছে। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলেছি।  এমন ঘটনা আর ঘটবে না বলে তারা আশ্বস্ত করেছে।”

এসআই আনিছার রহমান জানান, “এখন ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি শান্ত আছে৷ সংঘর্ষের বিষয়ে কেউ অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”