সজিবুর রহমান বলেন, “এ ভিডিও আমার না, আরেকজনের ভিডিও, আমার চেহারার সঙ্গে সেই চেহারার মিল নেই।”
Published : 17 Mar 2024, 11:19 PM
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ‘মাদক সেবনের ভিডিও’ প্রকাশ্যে আসার পর এক ছাত্রলীগ নেতা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
রোববার ভিডিওটি শিক্ষার্থীদের মোবাইলে ছড়িয়ে পড়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক উপ-দপ্তর সম্পাদক সজিবুর রহমান একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন বলে জানান সিলেট মহানগর পুলিশের জালালাবাদ থানার এসআই (নিরস্ত্র) শারফিন মিয়া।
দীর্ঘ পাঁচ বছর পর মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মীসভা ডাকা হয়েছে। প্রায় এক দশক পর ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কমিটি গঠিত হতে পারে- সাধারণ নেতাকর্মীদের মধ্যে এমন আলোচনা রয়েছে।
সজিবুর ছাত্রলীগের আগামী কমিটিতে নেতৃত্বের দাবিদার। তার মধ্যেই এ ধরনের ভিডিও প্রকাশ্যে আসায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে নানা আলোচনা-সমালোচনা তৈরি হয়েছে।
সজিবুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ পরাণ হলের ৪২৯ নম্বর কক্ষে থাকেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে ‘জালাল উদ্দীন’ নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে ‘সজিবুর রহমান মাদকজাতীয় দ্রব্য গ্রহণের জন্য প্রস্তুত করছেন’ এমন দুটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। মুহূর্তের মধ্যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে পড়ে। ভিডিও দুইটির একটি ১৩ সেকেন্ডর এবং অপরটি এক মিনিট সাত সেকেন্ডের।
ভিডিওটি দেখে এক ছাত্রলীগ কর্মী বলেন, “এতে সজিবুর রহমান ইয়াবা সেবনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। একটি ভিডিওতে তার পাশে আরও দুইজন বসে আছেন। তবে এই দুজনকে শনাক্ত করা যায়নি।
“এ ছাড়া ভিডিও দুটি কখন করা হয়েছে এর কোনো নির্দিষ্ট সময়ও জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, বছরখানেক আগের।”
তবে বিষয়টি অস্বীকার করে ছাত্রলীগ নেতা সজিবুর রহমান বলেন, “এ ভিডিও আমার না। এটা আরেকজনের ভিডিও। আমার চেহারার সঙ্গে সেই চেহারার মিল নেই। প্রতিপক্ষ ষড়যন্ত্র করে এটি ছড়িয়েছে।”
এ ঘটনায় দায়ের করা জিডিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, কে বা কারা তথ্য-প্রযুক্তির অপব্যবহার করে তার নামে খারাপ ভুয়া ভিডিও তৈরি করে ফেইসবুক পেজে ছড়িয়ে দিয়েছে। এতে তার সম্মানহানি হচ্ছে।
তার ব্যক্তিগত জীবন হুমকির মুখে ফেলতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে হয়রানি ও বিপদগ্রস্ত করতে এমনটি করা হচ্ছে বলেও জিডিতে উল্লেখ করেন ছাত্রলীগ নেতা সজিবুর।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘ভিডিও সম্পর্কে শুনেছি। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখব।”
এর আগে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে শাখা ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ইমরান খান ও উপদপ্তর সম্পাদক সজিবুর রহমানের কণ্ঠসদৃশ্য ২৩ মিনিটের একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়েছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পে চাঁদাবাজি এবং শাখা ছাত্রলীগের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রুহুল আমিনকে উলঙ্গ করে ছবি তুলে ক্যাম্পাস থেকে বের করার পরিকল্পনার কথাও উঠে আসে সেই ফোনালাপে। এ নিয়ে তখন সংবাদ মাধ্যমেও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
তখনও এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন সজিবুর রহমান।