গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে এক কয়েদির ‘আত্মহত্যার’ বিষয় গোপন করার অভিযোগে এক কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত এবং অপর দুজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।
বিষয়টি তদন্তে কারা কর্তৃপক্ষ চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে কারা কর্তৃপক্ষ এ ব্যবস্থা নিয়েছে বলে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় হাই সিকিউরিটি কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা জানিয়েছেন।
তিনি জানান, কারারক্ষীদের দেওয়া ভুল তথ্যের কারণে এই কয়েদি অসুস্থ হয়ে মারা গিয়েছিলেন বলে প্রথমে জানানো হয়েছিল।
মৃত নজরুল ইসলাম (৩০) কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার পাবদা গ্রামের সোহরাব উদ্দিনের ছেলে।
সুব্রত কুমার বালা সাংবাদিকদের জানান, স্ত্রী ও সন্তান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড হয়েছিল নজরুল ইসলামের। ২০২১ সালের ২০ মার্চ কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে তাকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় হাই সিকিউরিটি কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। তার কয়েদি নম্বর ৪৯৭৬/এ।
“বৃহস্পতিবার সকালে নজরুল কারাগারের ভেতর ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যার চেষ্টা করে অচেতন হন। দায়িত্বরত কারারক্ষীরা আত্মহত্যার চেষ্টার বিষয়টি ধামাচাপা দিতে নজরুল বুকের ব্যথায় অচেতন হয়ে পড়েন জানান।”
সুব্রত বলেন, তাকে তাৎক্ষণিকভাবে কারা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
“কিন্তু বিকালে প্রকৃত ঘটনাটি জানাজানি হলে কারারক্ষী রফিকুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় এবং অপর দুই কারারক্ষী মাইনুদ্দিন ও হামিদ গাজীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যস্থা গ্রহণের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।”
তিনি জানান, আর ঘটনাটি তদন্তে কারাগারের জেলার মো. লুৎফর রহমানকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের তদন্ত প্রতিবেদন দিতে পাঁচ কার্য দিবস সময় দেওয়া হয়েছে।