এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
Published : 13 Mar 2024, 05:04 PM
শেরপুরের নকলায় নিখোঁজের দুদিন পর মাটিচাপা অবস্থায় ইজিবাইক চালক কিশোরের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বুধবার দুপুরে শেরপুরের পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম তার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান।
নিহত কিশোর আসাদুজ্জামান আসাদ (১৭) দক্ষিণ নকলা এলাকার মো. ফজলুর করিমের ছেলে।
এ ঘটনায় আটক চারজন হলেন- নকলা উপজেলার ডাংধরাকান্দা গ্রামের মো. মজিবর মিয়ার ছেলে মো. হামিদুল ইসলাম খোকন (২৪),পূর্ব গজারিয়া গ্রামের মো.আবু হানিফের ছেলে মো. নূর নবী (২১),ধনাকুশা গ্রামের মৃত আশকর আলীর ছেলে মো. জাহিদুল ইসলাম এমসি জাহিদ (২২) ও ইশিবপুর গ্রামের মো. চান মিয়ার ছেলে মো. মিলন মিয়া (২৪)।
পুলিশ সুপার জানান,মঙ্গলবার ভোরে নালিতাবাড়ী উপজেলার তিনানী বাজার এলাকা থেকে চুরির সন্দেহে ইজিবাইকসহ হামিদুল ইসলাম খোকন ও নূর নবীকে আটক করে পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদে একেক সময় একেক ধরনের তথ্য দিলে তাদের বিষয়ে সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়।
এদিকে ইজিবাইকটি উদ্ধারের খবর পেয়ে নকলা উপজেলার বাসিন্দা মো. ফজলুর করিম নালিতাবাড়ী থানায় যান।
পুলিশ ইজিবাইক ও মোবাইল ফোন দেখালে সেগুলো তার ছেলের বলে শনাক্ত করেন ফজলুর।
পরে আটকদের নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে এক পর্যায়ে তারাসহ চারজন আসাদকে হত্যা করে মাটিচাপা দিয়ে ইজিবাইকটি ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করেন বলে দাবি পুলিশের।
পরে দুজনের দেওয়া তথ্যে জাহিদুল ইসলাম জাহিদ ও মো. মিলন মিয়াকে আটক করা হয়।
আটকদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ আরও জানায়, ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে সোমবার রাত ৯টার দিকে নকলা পৌরসভার নালিতাবাড়ী মোড় এলাকা থেকে আসাদের ইজিবাইকটি ভাড়া নেন চারজন।
বিভিন্ন সড়কে ঘোরাফেরা করে রাত পৌনে ১১টার দিকে নকলা-নালিতাবাড়ী সড়কের ধনাকুশা ছেফাকুড়ি ব্রিজের ২০০ গজের মধ্যে নিয়ে গাড়িটি আসাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিতে চান তারা।
এতে আসাদ বাধা দিলে তাকে হত্যা করে লাশ লুকানোর জন্য ওই এলাকায় মাটিচাপা দেওয়া হয়।
পরে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়ার পথে ইজিবাইকটির চার্জ শেষ হয়ে যায়। তখন সেখানে ডিউটিরত নালিতাবাড়ী থানা পুলিশের একটি টিমের কাছে আটক হন দুজন।
তাদের দেওয়া তথ্যে আরও দুজনকে আটক এবং মঙ্গলবার রাতে নকলা থানা পুলিশ আসাদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
পুলিশ সুপার আরও জানান,এ ঘটনায় নকলা থানায় আসাদের বাবা মো. ফজলুর রহমান বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আটক আসামিদের বুধবার বিকালে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অন্যদের মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মো. খোরশেদ আলম,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) আরাফাতুল ইসলাম,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো.সাইদুর রহমান,ডিআইও-১ জাহাঙ্গীর আলম,নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল কাদের খান,প্রেস ক্লাবের সভাপতি রফিকুল ইসলাম আধার,সাধারণ সম্পাদক আদিল মাহমুদ উজ্জলসহ স্থানীয় সংবাদমাধ্যম কর্মীরা ছিলেন।