দ্বন্দ্বের জেরে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদককে মারধরে রক্তাক্ত জখম করার ঘটনায় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তিন সহ-সভাপতিসহ নয় নেতা-কর্মী বহিষ্কৃত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
বাহিষ্কৃতরা হলেন জেলা ছাত্রলীগের তিন সহ-সভাপতি শেখ সজিব, ফেরদৌস মাহমুদ অন্তর ও মীর আহসানুল হাসান অভি।
অপর ছয়জন হলেন কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক সিজান আহমেদ রনি, মানবসম্পদ ও উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক অনিক আহমেদ, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রাফি রাতুল, সহ-সম্পাদক নাজমুস সাকিব, সাবেক আহ্বায়ক হাসিব কোরইশী এবং সংগঠনের কর্মী জুয়েল আহমেদ।
এ বিষয়ে কুস্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান অনিক বলেন, শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে জেলা ছাত্রলীগের তিন সহসভাপতিসহ ৯ নেতা-কর্মীকে বহিষ্কারের কথা কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় সংসদের ভেরিফাইড পেজে তা জানানো হয়।
“তবে তাদের বিরুদ্ধে কী জাতীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ করা হয়েছে সে বিষয়ে আমি বলতে পারছি না। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সে বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই।”
কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রতিপক্ষের হামলার শিকার শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জ বলেন, “দলের মধ্যে লেবাসধারী কিছু প্রতিক্রিয়াশীল কুচক্রী ঘাপটি মেরে আছে। এরা সুযোগ পেলেই নৃশংস আচরণ করতে দ্বিধা করে না। আমার উপর অন্যায়ভাবে যারা হামলা করেছিল তাদের বিচার দাবি করেছিলাম কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে।”
এ বিষয়ে বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি শেখ সজিবের মুঠোফোনে কল করলে তিনি রিসিভ করেননি।
গত ২২ নভেম্বর বিকালে শহরের পিটিআই সড়কের একটি বাড়িতে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জকে ঘেরাও করে টেনেহিঁচড়ে বের করে এনে প্রকাশ্যে পিটুনি দেয় একদল যুবক। পরে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় হাফিজ চ্যালেঞ্জের বোন বাদী হয়ে পরদিন কুষ্টিয়া মডেল থানায় হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও মারধরের অভিযোগ এনে মামলা করেন।
তবে ওই মামালার এজাহারভুক্ত কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করা যায়নি বলে জানান কুষ্টিয়া মডেল থানার পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন খান।
আরও পড়ুন: