শরীয়তপুরে সংঘর্ষ: একজনকে কুপিয়ে হত্যা, আহত ‘অন্তত ৪০’

সংঘর্ষ চলাকালে দুপক্ষ বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করে এবং বোমার বিস্ফোরণ ঘটনায়; টেটাসহ নানা দেশি অস্ত্র ব্যবহার করে।

শরীয়তপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 August 2022, 04:02 PM
Updated : 9 August 2022, 04:02 PM

শরীয়তপুর সদরে আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্বে দুদল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে এক যুবক নিহত ও অন্তত ‘৪০ জন’ আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার দুপুরে চিকন্দী ইউনিয়নের আবুড়া বড় সেতু এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়।

স্থানীয়রা জানান, এ সময় দুপক্ষ বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করে এবং বোমার বিস্ফোরণ ঘটনায়। সংঘর্ষে তারা টেটাসহ নানা দেশি অস্ত্র ব্যবহার করে।

নিহত মো. ওয়াহিদুজ্জামান খান (২৩) সদর উপজেলার চিকন্দি ইউনিয়নের আবুড়া গ্রামের রমিজ উদ্দিন খানের ছেলে।

আহতদের মধ্যে তিন জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

নিহতের চাচাতো ভাই সবুজ খান ও পালং থানা পুলিশ জানায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুপুরে দুটি পক্ষের লোকজন রামদা, ছেনি, টেঁটা, বল্লম ও হাতবোমা আবুড়া বড় ব্রিজের দক্ষিণ পাশের সংষর্ষে লিপ্ত হয়। প্রায় ২ ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ চলে।

সবুজ জানান, সংঘর্ষ চলাকালে ওয়াহিদুজ্জামান খানকে কুপিয়ে আহত করে প্রতিপক্ষের লোকজন। তাকে উদ্ধার শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

পালং মডেল থানার ওসি আক্তার হোসেন বলেন, “আমরা খবর পেয়ে এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। সংঘর্ষে এক জন নিহত ও অনেকে আহত হয়েছে। এখনও মামলা হয়নি।”

আহতদের মধ্যে রয়েছেন আনিছ উদ্দিন খান (৭০), রবিউল খান (৪০), মজিবর খান (৪৮), সনিয়া বেগম (২৪), ইয়াকুব তালুকদার (৪৬), আব্দুল খালেক তালুকদার (৮০), মিন্টু সরদার (৪৩), দিদার সিকদার (৪০), রহিমা বেগম (৪০), তারেক মিয়া (৩০), সুহেল খান (৩৬), রহিম মিয়া (৪০) ও খবির খান (৫০)। বাকিদের নাম জানা যায়নি।

এদের মধ্যে মিন্টু মাদবর, দিদার সিকদারসহ তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, সংঘর্ষ চলাকালে উভয়পক্ষ হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। আসলাম উদ্দিন খানের বাড়িতে অগ্নি সংযোগসহ পাঁচটি বাড়িতে হামলা ভাংচুর চালানো হয়।

নিহতের স্ত্রী সুমি আক্তার বলেন, “আমার নিরপরাধ স্বামীকে অন্যায়ভাবে হত্যা করেছে।”

নিহত ওয়াহিদুজ্জামানের বোন হাসিনা বেগম বলেন, “৩০/৪০ জন সন্ত্রসী আমার ভাইকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে।”