নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে নেত্রকোণার কলমাকান্দায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবির সমাবেশে হামলায় দলটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ কার্যালয় এলাকায় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সমাবেশ চলার সময় এ হামলা হয় বলে জেলা সিপিবির সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য ও জেলা যুব ইউনিয়নের সভাপতি আবুল কাইয়ুম আহমেদ জানান।
সিপিবির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স ছাড়াও তাৎক্ষণিকভাবে বাকি আহতদের মধ্যে যাদের পরিচয় জানা গেছে তারা হলেন, সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য দিবালোক সিংহ, জেলা সিপিবি সভাপতি নলীনি সরকার ও সাধারণ সম্পাদক মোশতাক আহমেদ।
আবুল কাইয়ুম বলেন, “সার, ডিজেলসহ নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে দুপুর আড়াইটার দিকে পূর্বনির্ধারিত সভা শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করছিলেন উপজেলা সিপিবির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। শুরুর কিছুক্ষণ পর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কিছু লোক এসে সভা বন্ধ করে দিতে বলেন।
“এ সময় তারা মাইক বন্ধ করতে চেষ্টা চালায়; কিন্তু কর্মীদের বাধার মুখে চলে যায়। পরে তারা আবার আসে। ঠিক তখনই সমাবেশস্থলে পুলিশও আসে। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই পুলিশ ও আওয়ামী লীগের লোকজন একসঙ্গে হামলা চালায়।”
আবুল কাইয়ুম জানান, হামলায় সমাবেশ পণ্ড হওয়াসহ প্রাথমিকভাবে ১০ জন আহত হয়েছেন। তবে আহতের সংখ্যা আরও বাড়বে। রুহিন হোসেন প্রিন্স, দিবালোক সিংহ প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। বাকি আহতরা বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
কলমাকান্দা থানার ওসি আব্দুল আহাদ খান বলেন, “উপজেলা পরিষদ চত্বরের শহীদ মিনারে সভা করার কোনো অনুমতি নেয়নি সিপিবি। তারা সমাবেশে সরকারবিরোধী ও উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখছিলেন। এতে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মীদের মাঝে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলছিল। তখন পুলিশ লাঠিপেটা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।”
“বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত ও নিয়ন্ত্রণে আছে,” বলেন ওসি।
এ ব্যাপারে কলমাকান্দা উজজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল আওয়াল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সভায় তারা আমাদের নেত্রীকে নিয়ে কটূক্তি করছিল; এ অবস্থায় ছেলেদের সঙ্গে হাতাহাতি হয়।”