কুমিল্লায় ‘ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণে’ চুরির মামলা, ৩ পুলিশ প্রত্যাহার

সময় ক্ষেপণ করে ঘটনার প্রধান আসামিকে পালিয়ে যেতে সহায়তার অভিযোগ ওঠে ওই তিন পুলিশের বিরুদ্ধে।

কুমিল্লা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Sept 2022, 05:10 PM
Updated : 26 Sept 2022, 05:10 PM

কুমিল্লার মুরাদনগরে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীকে ‘ধর্ষণ ও বিবস্ত্র অবস্থায় ভিডিও ধারণের’ ঘটনায় ‘গাফিলতির’ কারণে তিন পুলিশ সদস্যকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি ইকবাল হোসেন জানান, রোববার কুমিল্লার এসপির নির্দেশে ওই তিন পুলিশকে বাঙ্গরা বাজার থানা থেকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।

এরা হলেন বাঙ্গরা বাজার থানার এসআই ওমর ফারুক, এএসআই আতাউর রহমান ও কনস্টেবল মামুন হোসেন।

থানা পুলিশ ও ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার একটি গ্রামে গর্ভবতী এক নারী ও তার ছোট সন্তানকে মারধর করে হাত-পা বেঁধে মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে দেয়েএকদল দুর্বৃত্ত। পরে ওই নারীকে ৮/১০ জন মিলে ধর্ষণ করে। এ সময় বিবস্ত্র অবস্থায় ওই নারীর ভিডিও ধারণ করে তারা। এ ছাড়া ওই নারীর পেটে লাথিও মারে।

ওই নারীর অভিযোগ, ঘটনার পরদিন তিনি এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দিতে যান; কিন্তু কর্তব্যরত পুলিশ প্রকৃত সত্যকে আড়াল করে সাধারণ চুরির অভিযোগ নেয়। সময় ক্ষেপণ করে ঘটনার প্রধান আসামিকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে ওই তিন পুলিশ সদস্য।

ভুক্তভোগী নারীর পরিবার জানায়, ওই থানার পুলিশ সদস্য ও কম্পিউটার অপারেটর মামুন চুরি হয়েছে মর্মে একটি অভিযোগ লিখে দেন। পরে ওই অভিযোগের তদন্তের দায়িত্ব পান এসআই ওমর ফারুক; তার সঙ্গে এএসআই আতাউর রহমানও ঘটনার তদন্তে যান।

তারাও ‘সঠিকভাবে তদন্ত না করে’ ভুক্তভোগী নারী ও তার পরিবারকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করেন বলে ওই নারীর অভিযোগ।

ভুক্তভোগী নারী আরও বলেন, এ নিয়ে তিনি সংবাদ সম্মেলন করেছেন এবং পরে ওই পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে জেলার পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।

এ ব্যাপারে বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি ইকবাল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, “এক গর্ভবতী গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ ও ধর্ষণের ঘটনায় গাফিলতির কারণে জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে ওই তিন পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড [প্রত্যাহার] করা হয়েছে। আমরা প্রকৃত ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছি।”