চার দিন ধরে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর। তিনি আত্নগোপন করতে পারেন বলে প্রাথমিক ধারণার কথা বলছে পুলিশ।
নিখোঁজ সিফাতুল হক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ষষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। ২৩ বছরের সিফাতুল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন।
তিনি চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের হালিশহর এলাকার এনামুল হকের ছেলে।
দুমকি থানার এসআই মো. দোলোয়ার হোসেন জানান, মঙ্গলবার রাত থেকে সিফাতুল হক নিখোঁজ জানিয়ে বুধবার থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা মুকিত মিয়া। জিডি নম্বর-৭২৯।
জিডিতে বলা হয়, মঙ্গলবার সিফাতুল হক নিজের মোবাইল ও ম্যানিব্যাগ রেখে বের হয়ে আর হলের রুমে ফেরেননি। বন্ধু ও সহপাঠীরা খোঁজ করেও তাকে পায়নি।
ছাত্রদের বরাত দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সন্তোষ কুমার বসু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে সাড়ে ৯টার পর সিফাতুলকে তার রুমে পাওয়া যায়নি। তবে তার মোবাইল ও মানিব্যাগ রুমেই ছিল।
বিষয়টি জানার পর থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। অভিভাবকের কাছে খবর দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশ এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ খোঁজ খবর নিচ্ছে।
এসআই মো. দোলোয়ার জানান, জিডির পরপরই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তদন্তে লেবুখালী টোলপ্লাজার একটি সিসিটিভি ফুটেজে সিফাতুল হককে সবশেষ দেখা যায়।
ফুটেজে দেখা যায়, মঙ্গলবার রাত ১১টা ৩৩ মিনিটে সিফাতুল একা ওই এলাকায় ঘোরাফেরা করছেন। এক পর্যায়ে তিনি টোলপ্লাজার কাছে একটি মিনিট্রাকের পিছনে উঠতে চেষ্টা করেন। কিন্তু চালক তাকে নামিয়ে দেন। এরপর আর তাকে ভিডিওতে দেখা যায়নি।
কোনো কারণে সিফাতুল আত্মগোপন করতে পারেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বলেও জানান পুলিশ কর্মকর্তা দেলোয়ার।
শনিবার সকালে সিফাতুলের বাবা এনামুল হক মোবাইলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, তার ছেলের কোনো সন্ধান এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশ ও তার সহপাঠীরা পরিবারের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন।
তিনি জানান, তার ছেলে ক্যাম্পাসে কোনো দলাদলির সঙ্গে জড়িত ছিল না বলে সহপাঠী ও বন্ধুরা জানিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সবার সঙ্গেই ভাল সম্পর্ক রয়েছে সিফাতুলের।
তবে একটি মেয়ের সঙ্গে সিফাতুলের মনোমালিন্য হয়েছিল বলে তিনি কিছুটা জানতে পেরেছেন। এর বেশি কিছু জানাতে পারেননি নিখোঁজ শিক্ষার্থীর বাবা।