সিটি নির্বাচন: রাজশাহীতে ভোটের মাঠে নামলেন জাপা নেতাকর্মীরা

শনিবার মহানগরীর গণকপাড়া মোড়ে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন দলের নেতারা।

রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আনুষ্ঠানিক প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে ভোটের মাঠে নামলেন জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা। 

শনিবার বেলা ১১টার দিকে মহানগরীর গণকপাড়া মোড়ে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের নেতারা এ ঘোষণা দেন। 

এর আগে গত বৃহস্পতিবার দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের পাঁচ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে মনোনয়ন ঘোষণা করেন। 

রাজশাহীর মেয়র পদে মনোনয়ন দেন জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান ও রাজশাহী মহানগরের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম স্বপনকে। 

শনিবারের সংবাদ সম্মেলনে সাইফুল ইসলাম স্বপন লিখত বক্তব্য পাঠ করে এবং সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। 

স্বপন বলেন, “বাংলাদেশের উন্নয়নের রুপকার ও জাতীয় পার্টির প্রয়াত চেয়ারম্যান রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ রাজশাহী সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাই এই সিটি করপোরেশনের উন্নয়ন ও সকল প্রকার নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য কিছু পরিকল্পনা রয়েছে। 

“রাজশাহীর মানুষ এখনও জাতীয় পার্টির সঙ্গে আছেন। তাই আশা করছি নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আমরা ভালো ফলাফল করব।” 

নির্বাচনী ইস্তেহারে নাগরিক সুবিধা বাড়ানোর অগ্রাধিকার দেওয়া হবে জানিয়ে সাইফুল ইসলাম স্বপন বলেন, মশা নিধন, সুপেয় পানির ব্যবস্থা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, ফুটপাত দখলমুক্ত করে জনগণের চলাচলের ব্যবস্থা করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। 

এ ছাড়া পকুর ভরাট বন্ধ করে জলাশয় সংরক্ষণ করা, শিক্ষা ও সংস্কৃতির উন্নয়ন, শিল্পায়ন ও কর্মমুখী শিক্ষার মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা, টেন্ডারসহ সিটি করপোরেশনের যেসব অনিয়ম-দুর্নীতি আছে তা বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। 

কী ধরনের শিল্পায়ন প্রতিষ্ঠা ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “রাজশাহী টেক্সটাইল করাখানা, চিনিকল, রেশম শিল্প, সেরিকালচার কারখানাগুলোকে সরকারের সঙ্গে লিয়াজোঁ করে চালুর চেষ্টা করব। এছাড়াও প্রাইভেট সেক্টর বা বিদেশি সংস্থাকে কাজে লাগিয়ে কর্মস্থানে জোর দেওয়া হবে।” 

গার্মেন্টস সেক্টর প্রতিষ্ঠায় জোর দেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “অন্তত ৪টি গার্মেন্টস কারখানা প্রতিষ্ঠা হলে প্রায় ২০ হাজার লোকের কর্মস্থানের আশা করা যায়।” 

সিটি নির্বাচন স্বচ্ছ হবে কি না এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পার্টির এই নেতা বলেন, “এবার মনে হচ্ছে সিটি নির্বাচন স্বচ্ছ হবে। কেননা এই নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা হলে বর্হিবিশ্বে মনঃক্ষুণ্ন হবে; তাই বিদেশি রাষ্ট্রগুলোকে দেখানোর জন্য হলেও এ নির্বাচন শতভাগ সুষ্ঠু হবে। নইলে এর প্রভাব আগামীতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পড়বে।” 

অপর এক প্রশ্নের জবাবে স্বপন বলেন, “কাউন্সিলর পদে দলীয়ভাবে নির্বাচন বা মনোনয়ন দেওয়ার কোনো বিষয় নেই। তবে আমরা দলীয়ভাবে কাউন্সিলর পদে ৮/১০ জন প্রার্থীকে সমর্থন দেব। তারা ইতোমধ্যে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করাসহ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছেন।” 

সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা রাহাত হোসেন, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ও জেলা আহ্বায়ক আবুল হোসেন, দলের মহানগর সদস্য সচিব ওয়াসিউর রহমান দোলন, জেলা সদস্য সচিব সামসুদ্দিন রেন্টু, মহানগরের যুগ্ম আহ্বায়ক সালাউদ্দিন মিন্টু, লুৎফর রহমান, শাহীনুল ইসলাম শাহীন, সাইফুল ইসলাম খোকনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।