পার্বত্য চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরু সাধনানন্দ মহাস্থবির (বনভান্তে) রাঙামাটি জেলার লংগদু উপজেলার তিনটিলা বন বিহারের ১৯৭৪ সালে কঠিন চীবর দানোৎসবের পুনঃপ্রবর্তন করেন।
Published : 24 Nov 2023, 08:12 PM
পুণ্যার্থীর অংশগ্রহণে রাঙামাটির রাজবন বিহারে অনুষ্ঠিত হয়েছে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের কঠিন চীবর দানোৎসব।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বেইনঘর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দুইদিনের কঠিন চীবর দানোৎসব। শুক্রবার উৎসবের শেষ দিনে গৌতম বুদ্ধের আদর্শ ধারণ করে একে অন্যকে ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ করার আহ্বান জানানো হয়।
এদিন দুপুরে রাজবন বিহারের ৪৮তম দানোৎসবে বনভান্তের স্মৃতির উদ্দেশ্যে চীবর দান করেন বিহারের উপাসক-উপাসিকা পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা ও চাকমা সার্কেল চিফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাজবন বিহারের আবাসিক প্রধান প্রজ্ঞালঙ্কার মহাথের।
প্রজ্ঞালঙ্কার মহাথের বলেন, “পৃথিবী থেকে দুঃখ, গ্লানিবোধ মুছে ফেলার মাধ্যমে মানব হিতার্থে জীবনযাপন করতে হবে। একে অন্যকে ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ করতে হবে। জীবকে ভালোবাসতে হবে। তবেই ভগবান বুদ্ধের দর্শন লাভ সহজ হবে।”
প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে গৌতম বুদ্ধের জীবদ্দশায় মহাউপাসিকা বিশাখা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তুলা থেকে সুতা এবং সুতা রঙ করে কাপড় বুনে তা সেলাই করে চীবর (ভিক্ষুদের পরিধেয় বস্ত্র) দান করে এই উৎসবের সূচনা করেন।
এ পদ্ধতিতে দান করলে কায়িক-বাচনিক-মানসিকভাবে অধিক পরিশ্রম হয় এবং অধিকতর পূণ্যলাভ হয় বলে বৌদ্ধ শাস্ত্রে উল্লেখ আছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরু সাধনানন্দ মহাস্থবির (বনভান্তে) রাঙামাটি জেলার লংগদু উপজেলার তিনটিলা বন বিহারের ১৯৭৪ সালে কঠিন চীবর দানোৎসবের পুনঃপ্রবর্তন করেন।
কঠিন চীবর দানোৎসবের শেষ দিন স্থানীয় সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী, রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান ও পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরীসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।