রোববার দুপুরের দিকে শহরের মাধবদী পৌরসভার বড় মসজিদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
Published : 04 Aug 2024, 06:19 PM
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে সরকারবিরোধী অসযোগের মধ্যে নরসিংদী শহরে আওয়ামী লীগের ছয় নেতাকর্মীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার খবর পাওয়া গেছে।
রোববার দুপুরের দিকে শহরের মাধবদী পৌরসভা সংলগ্ন বড় মসজিদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) এ কে এম শহিদুল ইসলাম সোহাগ জানান।
তারা হলেন- সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনের ছোট ভাই দেলোয়ার হোসেন, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি মনির হোসেন ভুঁইয়া, সদর উপজেলার চরদীঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন, ছাত্রলীগকর্মী জলিল, সজীব ও মোক্তার।
উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনের খালাতো ভাই আল আমিন বলেন, "ওই ঘটনায় আমরা খালাত ভাই মারা গেছেন। তাকে পিটিয়ে, কুপিয়ে মারা হয়েছে বলে জেনেছি। সেখানে আরও পাঁচজনের মৃতদেহ আছে।"
সদর উপজেলা ও মাধবদী শহর আওয়ামী লীগের অন্তত দুজন নেতা বিকালে বলেছেন, লাশগুলো মাধবদী শহরের বড় মসজিদের অজুঘরের পাশের রাস্তায় ফেলে রাখা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আন্দোলনকারীরা সকাল থেকেই ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে মাধবদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছিলেন। আর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পৌরসভার সামনের এসপি ইনস্টিটিউশনের অবস্থান নিয়েছিলেন।
হঠাৎ করেই আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে মাধবদী শহরের ভিতরে প্রবেশ করতে থাকেন। তখন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনকারীদের ধাওয়া দেয়। এ সময় হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
ধাওয়া খেয়ে আন্দোলনকারীরা প্রথমে সরে যায়। কিন্তু পরে তারা আরও লোক নিয়ে এসে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ধাওয়া দেয়। দীর্ঘক্ষণ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পিছু হটে। একপর্যায়ে আওয়ামী লীগের অন্যরা সরে যেতে পারলেও ছয়জন আটকা পড়েন। তাদেরকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা হয়।