হামলাকারীরা প্রথমে একজনকে আটক করে মারপিট করেন; তাকে বাঁচাতে অন্যরা এগিয়ে গেলে তাদের ওপরও হামলা করা হয়।
Published : 03 Feb 2025, 09:17 PM
শরীয়তপুরে সংবাদ প্রকাশের জেরে চার সাংবাদিককে হাতুড়িপেটার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার দুপুর ১টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান শরীয়তপুর পালং মডেল থানার ওসি হেলাল উদ্দিন।
আহতরা হলেন- সমকালের প্রতিনিধি সোহাগ খান সুজন, নিউজ২৪ টিভি ও জাগো নিউজের জেলা প্রতিনিধি বিধান মজুমদার অনি, বাংলা টিভির নয়ন দাস এবং দেশ টিভির প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম আকাশ।
তাদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় সোহাগ খান সুজনকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ২৮ জানুয়ারি দুপুরে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার কাজী মোহাম্মদ ইলিয়াসের বিরুদ্ধে এক রোগীর ব্যবস্থাপত্র ছুড়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর করা হয়।
তবে ওই চিকিৎসকের পক্ষ নিয়ে স্থানীয় ক্লিনিক ব্যবসায়ী ও দৈনিক জনতা পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি নুরুজ্জামান শেখ একটি অনলাইনে সংবাদ প্রকাশ করেন। এ নিয়ে রোববার দুপুরে নুরুজ্জামানের সঙ্গে সোহাগ খান সুজনসহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিকের বাকবিতণ্ডা হয়।
সোমবার দুপুরে সুজন তার ব্যক্তিগত অফিসে যাচ্ছিলেন। পথে নুরুজ্জামান শেখের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২ জন হাতুড়িসহ দেশি অস্ত্র নিয়ে সুজনের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তাকে রক্ষা করতে মজুমদার অনি, নয়ন দাস ও সাইফুল এগিয়ে গেলে তাদের ওপরও হামলা করা হয়।
স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে অন্যরা চলে গেলেও সুজন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সমকালের জেলা প্রতিনিধি সুজন বলেন, “সংবাদ প্রকাশের জেরে আমার ওপর ক্ষিপ্ত ছিল নুরুজ্জামান শেখ। অফিসে যাওয়ার পথে আগে থেকে ওত পেতে থাকা নুরুজ্জামান শেখ ও তার লোকজন আমার ওপর হামলা চালায়।”
হামলায় আহত নিউজ২৪ টিভির প্রতিনিধি বিধান মজুমদার বলেন, “হঠাৎ দেখি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে নুরুজ্জামান শেখসহ ১০ থেকে ১২ জন সুজনের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে। বাঁচাতে গেলে আমাদের ওপরও হামলা করে তারা।”
হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান আরটিভির শরীয়তপুর প্রতিনিধি আবুল হোসেন সরদার।
ওসি হেলাল উদ্দিন বলেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলা ঘটনা শুনে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলাম। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ হবে।
এ বিষয়ে দৈনিক জনতা পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি নুরুজ্জামান শেখকে মোবাইল করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।