নববর্ষের শুভেচ্ছা পোস্টার ও ব্যানার টানানো নিয়ে সংঘর্ষের মধ্যে ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ ১০টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
Published : 11 Jan 2025, 01:23 AM
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলায় নববর্ষের শুভেচ্ছা পোস্টার ও ব্যানার টানানোকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন।
শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত উপজেলার কাঠপট্টি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে মুকসুদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শীতল চন্দ্র পাল জানান।
ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।
আহতদের মধ্যে হাবিবুর রহমানকে মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম এবং নির্বাহী কমিটির সহআইন বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেসবাহ সমর্থকদের মধ্যে কিছুদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছে আসছিল।
দুপুরে একটি চায়ের দোকানে এক নেতার নববর্ষের শুভেচ্ছা ক্যালেন্ডার সরিয়ে অন্য নেতার ক্যালেন্ডার সাটিয়ে দেন এক সমর্থক। এতে বাধা দেন আগের ক্যালেন্ডারের নেতার সমর্থকরা।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারধরের পাশাপাশি ‘জীম ডায়গনস্টিক সেন্টার’ ভাঙচুর করা হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উভয়পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। আতঙ্কের মধ্যে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেন অনেকেই।
তবে ভাঙচুর করা হয় তিনটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ ১০টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। রাত ৯টার দিকে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন।
সেলিমুজ্জামান সেলিমের সমর্থক মুকসুদপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম রাজু বলেন, “মেজবাহর সমর্থকরা সংঘবদ্ধ হয়ে সেলিমুজ্জামান সেলিমের ব্যানার ও পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে। বাধা দিতে গেলে ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।”
মেজবাহর সমর্থক মুকসুদপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহজ্জাত মহসিন টিপু মিয়ার ছেলে ইমন মিয়া দাবি করেছেন, “জীম মুকসুদপুর কলেজ ছাত্রদলের সাবেক নেতা। তিনি উপজেলা সদরে মেজবাহর বেশ কিছু ব্যানার টানানো হয়। সেখানে জীমের ছবি রয়েছে।
“শুক্রবার সন্ধ্যায় এসব ব্যানার সেলিমুজ্জামান সেলিমের সমর্থকরা নামিয়ে ফেলেন। এ ঘটনার ছবি তুলে তাকে থানায় জানাতে বলি। জীম থানায় যাওয়ার পথে সেলিমের সমর্থকরা জীমের বাবা হাবিবুরকে মারপিট করেন। পরে তাদের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভাঙচুর চালায় তারা।”
পুলিশ পরিদর্শক শীতল চন্দ্র পাল বলেন, আড়াই ঘণ্টা চেষ্টার পর রাত ৯টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় পুলিশ। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।