সংঘর্ষের মধ্যে নয়টি বাড়ি, পাঁচটি মোটরসাইকেল এবং ২৬টি দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
Published : 09 Sep 2024, 06:16 PM
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে ছয়জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
এ সময় নয়টি বাড়ি, পাঁচটি মোটরসাইকেল ও ২৬টি দোকান ভাঙচুর এবং লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
রোববার রাতে উপজেলার চান্দাই ইউনিয়নের দাসগ্রাম বাজার ও রাজেন্দ্রপুর কুদুর মোড়ে এ ঘটনা ঘটে বলে বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সরল মুরমু জানান।
গুলিবিদ্ধরা হলেন- বিএনপির কর্মী রাজেন্দ্রপুর গ্রামের শহীদুল ইসলাম মালিথা (৩৮), সাগর আলী (২০), মামুন হোসেন (২১), জাহিদ আলী (১৮), মশিউর রহমান (২৮), এবং দাসগ্রামের রবিউল করিম (৩৯)।
এ ছাড়া সংঘর্ষে দাসগ্রামের মেহেদী হাসান (২৮), শাহ আজিজ (৪০), লিটন (৩৮) এবং আওয়ামী লীগের কর্মী শাহিন মালিথা (৬০) আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে শহীদুলকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং অন্যদের বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, দাসগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আউয়াল টিপুর সঙ্গে সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমানের দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। কয়েক মাস আগে বিএনপির কমিটি গঠন করা হলে, তা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন হাবিবুর রহমানের সমর্থকেরা।
৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে আলাদা আলাদাভাবে কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন তারা। রোববার সন্ধ্যায় আব্দুল আউয়াল টিপুর অনুসারীরা দাসগ্রাম বাজারে হাবিবুর রহমানের অফিস ভাঙচুর করেন।
খবর পেয়ে হাবিবুর রহমান শতাধিক লোক নিয়ে বাজারে গিয়ে গুলি ছোড়াসহ ককটেল বিস্ফোরণ ঘটালে প্রতিপক্ষের লোকজন পালিয়ে যায়।
পরে দাসগ্রাম বাজার ও রাজেন্দ্রপুর কুদুর মোড়ে ২৬টি দোকানসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জহুরুল মালিথার বাড়িঘরে ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে হাবিবুরের অনুসারীদের বিরুদ্ধে।
হামলাকারীরা দোকানপাট ও বাড়িঘরে ভাঙচুরের পাশাপাশি লুটপাটও চালায় বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্তদের।
অভিযোগ অস্বীকার করে হাবিবুর রহমান বলেন, “আব্দুল আউয়াল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে আমার দোকান ঘর, অফিস ও যুবদলের কার্যালয় ভাঙচুর করেছেন। খবর পেয়ে আমার সমর্থকরা সেখানে গেলে তারা পালিয়ে যান।”
এ সময় সেখানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলেও গোলাগুলি ও লুটপাটের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই বলে দাবি হাবিবুর রহমানের।
বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার মিজানুর রহমান বলেন, আহতদের মধ্যে দুজনের শরীর থেকে গুলি বের করা হয়েছে। চারজনের শরীরে রাবার বুলেটের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
পরিদর্শক (তদন্ত) সরল মুরমু বলেন, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। তবে এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।