একদিন আগে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কবলে পড়ে বরযাত্রী আটজনসহ ১১ যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলার নদীতে ডুবে যায়।
Published : 03 Aug 2024, 05:30 PM
শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলায় মেঘনা নদীতে বরযাত্রী নিয়ে ট্রলারডুবির ঘটনায় আরও দুইজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন বর।
শনিবার দুপুর পর্যন্ত চারজনের লাশ উদ্ধারের খবর জানিয়েছেন শরীয়তপুরের নরসিংহপুর নৌ-পুলিশের এসআই আবদুল হাই।
শুক্রবার ট্রলারডুবির ঘটনায় বরের মা সাহানা বেগম (৫০) ও বোন জলি আক্তারের (২৮) লাশ উদ্ধার করা হয়। রাত ৯টার দিকে বরের ছোট ভাই শাওন ব্যাপারী (২৪) এবং শনিবার দুপুরে বরের বন্ধু হৃদয়ের (২৬) লাশ উদ্ধার করা হয়। নিখোঁজ রয়েছেন বর সাঞ্জু ব্যাপারী (২৬)।
নিহত শাওন ব্যাপারী ঢাকার ওয়ারী থানার জুরাইন এলাকার মো. শাহজাহানের ছেলে।
শুক্রবার সকালে উপজেলার কোদালপুর ইউনিয়নের লঞ্চঘাট থেকে ট্রলারযোগে মেঘনা নদী পাড়ি দিয়ে মাঝের চর যাওয়ার পথে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কবলে পড়ে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে বলে জানান গোসাইরহাট থানার ওসি পুষ্পেন দেবনাথ।
তিনি জানান, ঢাকা থেকে যাওয়া বরযাত্রীর আটজনসহ ট্রলারটিতে ১১ যাত্রীর মধ্যে তিনজন সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও নদীতে ডুবে যায় বরযাত্রীর আটজন।
মেঘনায় বরযাত্রীর ট্রলার ডুবিতে নিহত ২, বরসহ নিখোঁজ ৩
খবর পেয়ে স্থানীয় জেলে ও পুলিশ বরযাত্রী পাঁচজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসক বর সাঞ্জুর মা সাহানাজ ও বোন জলি আক্তারকে মৃত ঘোষণা করেন। বরসহ বাকি তিনজনের খোঁজে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের একটি দল উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করেও নদীতে স্রোত থাকায় তাদের খোঁজ পায়নি।
এসআই নাজমুল ইসলাম জানান, পরে রাতে কোদালপুর লঞ্চঘাটের কাছাকাছি নদীতে সাঞ্জুর ছোট ভাই শাওনের মৃতদেহ জেলেদের জালে আটকা পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই শাওনের মৃতদেহ উদ্ধার করে।
শনিবার দুপুর ১২টার দিকে সাঞ্জুর বন্ধু হৃদয়ের মৃতদেহ কোদালপুর এলাকার মেঘনা নদী থেকে উদ্ধার করে নৌ-পুলিশের একটি দল। শাওন, শাহানা ও জলির মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
হৃদয়ের স্বজনদের খবর পাঠানো হয়েছে; তারা এলেই লাশ হস্তান্তর করা হবে বলে জানান এসআই নাজমুল ইসলাম।