ভোলায় যে গ্যাস আবিষ্কৃত হয়েছে তার পূর্ণ ব্যবহার হচ্ছে না বলে দাবি করেন তিনি।
Published : 02 Nov 2024, 12:36 AM
দেশে গ্যাসের সংকট দূর করতে আগামী চার বছরের মধ্যে মোট ১৯টি কূপ খননের পরিকল্পনার কথা জানালেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
তিনি বলেন, “দেশে প্রচুর পরিমাণ জ্বালানি গ্যাসের সংকট রয়েছে, তাই গ্যাস আমদানিতে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করতে হয়। সংকট দূর করতে ভোলাতে পরিকল্পনা করে ২০২৫ সালের মধ্যে পাঁচটি গ্যাস কূপ খনন করা হবে। আর ২৮ সালের মধ্যে ১৯টি কূপ খননের পরিকল্পনা আছে।”
শুক্রবার দুপুরে ভোলার ইলিশা-১ গ্যাস ক্ষেত্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশে এখনো গ্যাসের তীব্র সংকট চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের এখন ৪ হাজার এমসি গ্যাস দরকার, সেখানে আমরা পাচ্ছি মাত্র ২ হাজার। আমরা বিভিন্ন দেশ থেকে গ্যাস আমদানি করছি, এতে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হচ্ছে। ঘাটতি মেটানোর জন্য বছরে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকার এলএনজি আমদানি করা হয়।
“আমরা জোরালোভাবে চেষ্টা করছি, নতুন নতুন গ্যাস ফিল্ড তৈরি করে গ্যসের উৎপাদনমুখি করার।”
এখন থেকে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতা ছাড়া কোনো প্রকল্প নেওয়া হবে না জানিয়ে ফাওজুল কবির খান বলেন, “টেন্ডার মাধ্যমে যাদের
কাছ থেকে ভালো প্রস্তাব পাব, আমরা তাকেই কাজ দেব। এসব ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ কমিটির পরামর্শ নেওয়া হবে। কোনো অনিয়ম করতে দেওয়া হবে না।”
এসময় তিনি আরো বলেন, “আমরা সব বড় বড় প্রকল্প গ্রহন করেছি। কিন্তু মানুষের প্রয়োজনটাকে গুরুত্ব দিইনি তাই দুর্নীতি বেশি হয়েছে বড় প্রকল্পে।”
অন্তর্বর্তী সরকারের এ উপদেষ্টা আরো বলেন, “এ মুহূর্তে বাসা-বাড়িতে গ্যাস দেওয়া কথা বলা এটি মিথ্যা আশ্বাস। আমি যেহেতু রাজনীতি করবো না, তাই এই ধরনের মিথ্যা আশ্বাস দেব না।
“তবে ভবিষ্যতে দেশে গ্যাস সরবরাহ বাড়লে তখন এ বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করা হবে।”
ভোলায় সফর সম্পর্কে উপদেষ্টা বলেন, “এখানে আসার উদ্দেশ্য হল, আরও গ্যাস পাওয়া যায় কিনা সেটার সম্ভাবনা এবং কী করলে আরও বেশি গ্যাস পাওয়া যাবে সেটি দেখা।”
ভোলায় যে গ্যাস আবিষ্কৃত হয়েছে সেটির পূর্ণ ব্যবহার হচ্ছে না দাবি করে তিনি বলেন, “সেটার কীভাবে পূর্ণ ব্যবহার করা যায় সেই বিবেচনা করতে হবে।”
ভোলার বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান ও গ্যাসভিত্তিক শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠার আশ্বাসও দেন তিনি।
এ সময় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সচিব, পেট্টোবাংলার চেয়ারম্যান ও ভোলার ডিসি তার সঙ্গে ছিলেন।