১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রংপুরের সিটি বাজার এলাকায় সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন মুসলিম উদ্দিন মিলন।
Published : 28 Aug 2024, 04:51 PM
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রংপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক স্বর্ণকারিগর নিহতের ঘটনায় জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে মহানগরীর কোতোয়ালি আমলি আদালতের বিচারক রাজু আহম্মেদ বাবুর আদালতে মামলাটি করা হয় বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী আইনজীবী আন্দোলনের সদস্যসচিব পলাশ কান্তি নাগ।
নিহত সোনার দোকানের কারিগর মুসলিম উদ্দিন মিলন রংপুর নগরীর পূর্ব গনেশপুর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। তার স্ত্রী দিলরুবা আক্তার (৩২) বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন।
মামলায় শিরীন শারমিন চৌধুরী ছাড়াও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নাছিমা জামান ববি, সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম মোহাম্মদ আহসানুল হক চৌধুরী ডিউককে আসামি করা হয়েছে।
অন্য আসামিদের মধ্যে আছেন- রংপুর বিভাগীয় কমিশনার জাকির হোসেন, রংপুর রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি আব্দুল বাতেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, সাবেক জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান, রংপুর জেলার সাবেক পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) হুসাইন মোহাম্মদ রায়হান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বি সার্কেল) আবু আশরাফ সিদ্দিকী।
এ ছাড়া মামলায় আসামি হিসেবে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আব্দুল মালেক, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হক প্রামাণিক, আওয়ামী লীগ নেতা রাশেক রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ছায়াদাত হোসেন বকুল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শফিয়ার রহমান সাফি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মণ্ডলের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ছাড়া আরও অনেককে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রংপুরের সিটি বাজার এলাকায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ছাত্র-জনতার সংঘর্ষ হয়।
এ সময় আসামিদের প্ররোচনা-উসকানি ও নির্দেশে হেলমেট পরিহিত পুলিশ সদস্যরা এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে। এতে মিলন গুলিবিদ্ধ হলে তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পরে আসামিদের চাপে ময়নাতদন্ত না করেই তড়িঘড়ি করে তার মরদেহের দাফন করা হয়।
আইনজীবী পলাশ কান্তি নাগ আরও বলেন, মামলাটি এজাহার হিসেবে গণ্য করার জন্য রংপুর মহানগরের কোতোয়ালি থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এই হত্যা মামলাটি পরিচালনা করেন রংপুর মেট্রোপলিটন আমলি আদালতের আইনজীবী মোফাজ্জল হোসেন বকুল।