ওই ইউপির চেয়ারম্যান বলেন, যারা টাকার বিনিময়ে এসব করেছে তারা শাস্তি পাবে।
Published : 21 Jun 2024, 06:24 PM
কুমিল্লায় রোহিঙ্গা যুবককে জন্ম নিবন্ধন করে দেওয়ার অভিযোগে এক ইউনিয়ন পরিষদের সচিবকে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে তাকে কুমিল্লার আদালতে মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি রাজেস বড়ুয়া।
তিনি জানান, এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেলার মুরাদনগর-কোম্পানীগঞ্জ সড়কের নিমাইকান্দি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা সদস্যরা।
গ্রেপ্তার ইউপি সচিব ইসমাইল হোসেন কুমিল্লা আদর্শ উপজেলার গুনানন্দি গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে। তিনি মুরাদনগর সদর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব।
ডিবি পুলিশ জানায়, মুরাদনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের ঘোড়াশাল গ্রামের বাসিন্দা পরিচয়ে জন্ম নিবন্ধন তৈরি করে চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লা আঞ্চলিক অফিসে পাসপোর্ট করতে এসে ইয়াছিন (১৯) নামে এক রোহিঙ্গা যুবক আটক হন।
পরে অফিসের কর্মকর্তারা ইয়াছিনকে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।
এ ঘটনায় ওই সময় কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করে গোয়েন্দা পুলিশ।
বিষয়টির তদন্তে ইউপি সচিব ইসমাইল হোসেনসহ বেশ কয়েকজনের সম্পৃক্ত থাকার তথ্য পায় ডিবি।
মুরাদনগর সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী তুফরীজ এটন বলেন, “আমি সচিবকে সর্বোচ্চ সুবিধা দিয়েছি। তারপরও তাকে কেন এসব অপকর্ম করতে হবে? যারা টাকার বিনিময়ে এসব করেছে তারা শাস্তি পাবে।”
জেলা ডিবি পুলিশের ওসি রাজেস বড়ুয়া জানান, রোহিঙ্গা যুবককে জন্ম নিবন্ধন করে দেওয়ার মামলায় সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে ইউপি সচিব ইসমাইলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।