“মঙ্গলবার প্রাণে মারার উদ্দেশ্যেই লোহার রড দিয়ে আমাকে মারধর করেছে।”
Published : 23 May 2024, 11:39 PM
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে মারধরের অভিযোগে দপ্তরির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
ভাতগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শংকরী রানী দে বৃহস্পতিবার দুপুরে স্কুলটির নৈশপ্রহরী কাম দপ্তরি রুবেল মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেন বলে ছাতক থানার ওসি শাহ আলম জানান।
রুবেল মিয়া ভাতগাঁও গ্রামের কাচা মিয়ার ছেলে।
এ ঘটনায় দপ্তরির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) লিখিত দেওয়া হয়েছে।
ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে অবিলম্বে দপ্তরি রুবেল মিয়াকে চাকরিচ্যুত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নেতারা।
মামলায় বলা হয়েছে, দপ্তরি রুবেল মিয়া নিয়মিত স্কুলে আসেন না। এলেও কাজ করেন না। সব সময় আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে স্কুলে চলাফেরা করেন। প্রধান শিক্ষক নিয়মানুযায়ী কাজ করার কথা বললেও তিনি উল্টো হুমকি-ধমকি ও ধমক দিতেন।
মঙ্গলবার রুবেল মিয়াকে কাজ করার কথা বললে তিনি জানিয়ে দেন, এই স্কুলে থাকতে হলে তাকে কাজের কথা বলা যাবে না। কাজের নির্দেশ দিলে তিনি প্রধান শিক্ষকের দিকে তেড়ে আসেন। এক পর্যায়ে চেয়ার দিয়ে তাকে আঘাত করেন। উপস্থিত দুজন শিক্ষক তাকে ফেরানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। তিনি প্রধান শিক্ষককে লোহার রড দিয়ে মাথায় ও মুখে আঘাত করেন। এতে প্রধান শিক্ষক মাথায় ও চোখে আঘাতপ্রাপ্ত হন। প্রচুর রক্তক্ষরণ হলে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহত প্রধান শিক্ষক শংকরী রাণী দে বলেন, “দপ্তরি রুবেল গ্রামের প্রভাবশালী পরিবারের হওয়ায় স্কুলে কোনো কাজ করতে চায় না। কাজের কথা বললে উল্টো হুমকি-ধমকি দেয়। শিক্ষকরা ভয়ে তার সঙ্গে কথা বলেন। আমি তাকে কাজের কথা বলায় সে আমাকেও হুমকি ধমকি দেয়।
“মঙ্গলবার প্রাণে মারার উদ্দেশ্যেই লোহার রড দিয়ে আমাকে মারধর করেছে।”
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রাফিজ মিয়া বলেন, “শিক্ষকের ওপর হামলার ঘটনায় আমরা সবাই মর্মাহত। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আমি ইউএনওকে লিখিতভাবে বলেছি।
“আহত শিক্ষকও মামলা করেছেন। এ ঘটনায় কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। অপরাধীকে শাস্তি পেতেই হবে।”
ছাতক থানার ওসি শাহ আলম বলেন, “আমরা আসামিকে ধরতে কাজ শুরু করেছি। আসামির বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”