Published : 11 Jan 2024, 05:38 PM
মাদারীপুরের কালকিনিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিজয় মিছিলে বোমা হামলায় আহত ব্যক্তি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে ঢাকা প্রাইম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান বলে হাসপাতালটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. গোলাম মোস্তফা জানান।
নিহত এমরাত সরদার (৪০) উপজেলার আলিনগর ইউনিয়নের ফাঁসিয়াতলা এলাকার বাসিন্দা।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাদারীপুর-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপকে পরাজিত করে বিজয়ী হন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগম।
নিহত এমরাতের ছেলে অহীদ সরকার বলেন, গত সোমবার সকালে তাহমিনা বেগমের পক্ষে একটি বিজয় মিছিল বের করা হয়।
তার অভিযোগ, কালিগঞ্জ বাজার থেকে ফাঁসিয়াতলা বাজারের যাওয়ার পথে আলীনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহিদ পারভেজের লোকজান মিছিলটিতে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আহত হন অন্তত ১০ জন।
আহতদের উদ্ধার করে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তাদের মধ্যে এমারত হোসেন সরদারের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে প্রথমে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে থেকে বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার প্রাইম হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
প্রাইম হাসপাতালের ডা. গোলাম মোস্তফা বলেন, “রোগীকে আমরা বাঁচানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলাম।কিন্তু অবস্থা খুবই খারাপ হওয়ায় বাঁচাতে পারিনি।”
নিহতের স্ত্রী শাহনাজ বেগম বলেন, “আমার স্বামীকে যারা এভাবে বোমা মেরে হত্যা করল, আমি সরকারের কাছে এ হত্যার ন্যায় বিচার চাই।”
একই দাবি নিহতের ভাই এমদাদ সরদারের।
তিনি বলেন, “আমার ভাইকে বাঁচাতে অনেক চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু বোমায় শরীরে এতই ক্ষতি হয়েছে যে, শেষ পর্যন্ত আর রাখতে পারলাম না। আমার ভাইয়ের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্ত মূলক বিচার চাই।”
এমারত সরদারকে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানান মাদারীপুর-৩ আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য তাহমিনা বেগম।
তিনি বলেন, “সমর্থকরা বিজয় মিছিল করতেই পারে। তাই বলে সেই মিছিলে বোমা মারতে হবে? যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।”
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আলীনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহেদ পারভেজ বলেন, “এমারত মারা গেছে শুনেছি। এখানে আমাকে রাজনৈতিক কারণে দায়ী করা হচ্ছে। আসল সত্য হচ্ছে, এমারত নিজেই বোমা বহন করতে গিয়ে বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হন। কেউ তার ওপর হামলা চালায় নাই। পুলিশ তদন্ত করলে পুরো সত্য ঘটনাটি জানতে পারবে। তাছাড়া সে যে নিজের কাছে রাখা বোমার আঘাতেই মারা গেছে, তার প্রমাণও রয়েছে।”
এদিকে, কালকিনি থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, হামলার ঘটনার দিনই এরদার সরকারের ছেলে অহীদ সরকার বাদী হয়ে মামলা করেছিল। সেটি এখন হত্যা মামলায় রূপ নেবে।
আরও পড়ুন: