জামালপুর পুলিশ লাইনে কর্মরত শফিকুল দুই দিন আগে ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে যান।
Published : 10 Jan 2025, 10:05 PM
নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলায় পুলিশের এসআই শফিকুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয়দের আসামি করে মামলা হয়েছে। হত্যায় ছয়জন অংশ নিয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঘটনার পরদিন শুক্রবার বিকালে উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের বাড়িতে শফিকুলের দাফন সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান দুর্গাপুর থানার ওসি মো. বাচ্চু মিয়া।
শফিকুল ইসলামের বাবা রফিকুল ইসলাম দুর্গাপুর থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ছয়জনকে আসামি করে হত্যা মামলাটি করেন বলে জানান তিনি।
শফিকুল ইসলাম জামালপুর পুলিশ লাইনে কর্মরত ছিলেন। বুধবার ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে আসেন তিনি।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শফিকুল দুর্গাপুর পৌরশহরের বাগিচাপাড়ার বাসা থেকে বের হয়ে বাজারে দিকে যান। বাজার থেকে ফেরার পথে ৬টা ২০ মিনিটের দিকে পান মহলের পাশে গলির সড়কে অজ্ঞাতপরিচয় ছয়জন অস্ত্র নিয়ে শফিকুলকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়।
হামলাকারীরা শফিকুলের দুই হাত, পা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। ধারাল অস্ত্রের আঘাতে তার ডান পায়ের গোড়ালির অংশ আলাদা হয়ে যায়।
তাকে উদ্ধার করে প্রথমে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে রাত ৯টার দিকে শফিকুল মারা যান।
ওসি বাচ্চু মিয়া বলেন, “এখন পর্যন্ত হামলার কারণ জানা যায়নি। তবে আলামত হিসেবে ঘটনাস্থলেন সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। ভিডিও দেখে হামলাকারীদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
ঘটনার পর থেকে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক দল অভিযান চালাচ্ছে বলে জানান তিনি।
শুক্রবার বিকালে গ্রামের বাড়িতে শফিকুলের মৃতদেহ নেওয়া হয়। সেখানে জানাজা শেষে লাশ দাফন করা হয়েছে। জানাজায় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ও এলাকাবাসী অংশ নেন।
নেত্রকোণায় পুলিশের এসআইকে কুপিয়ে হত্যা