বিজিবি অধিনায়ক বলেন, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে তদন্ত শেষে মরদেহ বাংলাদেশে হস্তান্তর করবে।
Published : 07 Jan 2025, 07:46 PM
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার এক বৃদ্ধের লাশ ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে বিজিবি।
উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের বাল্লা স্থলবন্দর সীমান্তের অপরপাশে ত্রিপুরার খোয়াই থানার গৌড়নগর এলাকার একটি রাস্তার পাশে তার মরদেহ পড়েছিল বলে মঙ্গলবার দুপুরে বিজিবি-৫৫ হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানজিল আহমেদ জানান।
নিহত জহুর আলী (৬০) গাজীপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ডুলনা গ্রামের মনসুব উল্লাহর ছেলে। তার মরদেহ এখন ভারতীয় কর্তৃপক্ষের হাতে রয়েছে।
নিহতের স্বজনদের বরাত দিয়ে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল মালেক চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, জহুর আলী ঢাকায় একটি কোম্পানিতে নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ করেন। তিন দিন আগে তিনি বাড়িতে আসেন। আসার সময় ঢাকা থেকে বেশকিছু লুঙ্গি নিয়ে আসেন।
“সোমবার তিনি বাড়ির পাশের নালুয়া বাগানে যান। এ সময় তিনি পরিবারের সদস্যদের বলে যান, লুঙ্গিগুলো বিক্রি করে ফিরে আসবেন। কিন্তু আর ফেরেননি। পরে তিনি জানতে পেরেছেন, তার মরদেহ ভারতের খোয়াইয়ে পাওয়া গেছে।”
খবর পেয়ে নিহতের বাড়িতে পুলিশ, বিজিবি ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা গিয়েছেন।
চুনারুঘাট থানার ওসি মো. নূর আলম বলেন, “বিষয়টি জানার পর আমরা বিজিবিকে জানিয়েছে। আমরা তার মরদেহ উদ্ধারের চেষ্টা করছি।”
এদিকে বিকালে বিজিবি-৫৫ হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানজিল আহমেদ বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সংবাদিকদের কাছে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জহুর আলী কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। তিনি হয়ত সোমবার কোনো এক সময় মানিকভাণ্ডার নাম স্থানের মেইন পিলার ১৯৬৮/এম কার কাছ দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন।
“সকাল ১০টার দিকে ভারতের তিন কিলোমিটার অভ্যন্তরে গৌড়নগর এলাকায় রাস্তার পাশে একটি মরদেহ দেখে স্থানীয়রা (ত্রিপুরার) খোয়াই থানায় খবর দেয়। পুলিশ এসে তাকে খোয়াই জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং চিকিৎসক তার মৃত্যু নিশ্চিত করে।”
বিএসএফের বরাতে এসব তথ্য জানা গেছে জানিয়ে বিজিবি অধিনায়ক বলেন, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে তদন্ত শেষে মরদেহ বাংলাদেশে হস্তান্তর করবে।