‘আজও সুচিত্রা সেনই সেরা’

ভারতের এই সহকারী হাই কমিশনার মঙ্গলবার পাবনায় সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংগ্রহশালা ও এই অভিনেত্রীর পৈত্রিক বাড়ি পরিদর্শন করেন।

পাবনা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Nov 2022, 03:54 PM
Updated : 22 Nov 2022, 03:54 PM

প্রয়াত অভিনেত্রী সুচিত্রা সেন এখনও চলচ্চিত্র দর্শকদের কাছে সেরা হয়ে আছেন বলে মনে করেন রাজশাহীতে নিযুক্ত ভারতের সহকারী হাই কমিশনার মনোজ কুমার।

মঙ্গলবার বিকালে সস্ত্রীক পাবনায় সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংগ্রহশালা ও এই অভিনেত্রীর পৈত্রিক বাড়ি পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

“সুচিত্রা সেন অনেক বড় মাপের অভিনেত্রী ছিলেন,” দন্তব্য করে মনোজ কুমার বলেন, “ভারতে তিনি মহানায়িকার স্থান দখল করে রেখেছেন। অভিনয় দক্ষতা দিয়ে মানুষের মন জয় করে রেখেছেন। আজও সুচিত্রা সেনই সেরা।”

তিনি বলেন, “সুচিত্রা সেন ভারতের নায়িকা হলেও বাংলাদেশে তার বাড়িটি সংরক্ষণ করায় আমি আনন্দিত। এখানে আসতে পেরে আমি আবেগাপ্লুত ও আনন্দিত।”

বাড়িটিতে আরও বড় আকারে কিছু করা গেলে ভালো হতো, এতে উপমহাদেশের অনেক লোকজন এখানে আসত বলেও তিনি মনে করেন এবং এ ক্ষেত্রে ভারতের কিছু করণীয় থাকলে সে বিষয়ে কথা বলবেন বলে জানান।

বিকাল ৪টার দিকে সহকারী হাই কমিশনার মনোজ কুমার স্ত্রীসহ সুচিত্রা সেনের পৈত্রিক বাড়িতে এসে পৌঁছান। এ সময় সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের পক্ষ থেকে তাকে ফুলের শুভেচ্ছা জানানো হয়। পরে তিনি স্ত্রীকে নিয়ে বাড়িটি ঘুরে দেখেন এবং ছবি তোলেন।

এ সময় অন্যদের মধ্যে সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি চিকিৎসক রাম দুলাল ভৌমিক, পাবনা প্রেসক্লাব সভাপতি এ বি এম ফজলুর রহমান, সহ-সভাপতি শহিদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদ, পাবনা ড্রামা সার্কেলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সরোয়ার উল্লাস ও আবৃত্তি সংগঠন বাচন শৈলির সদস্য সাব্বির আহম্মেদ উপস্থিত ছিলেন।

পাবনা শহরের গোপালপুর মহল্লার হেমসাগর লেনে সুচিত্রা সেনের পৈতৃক বাড়ি। এই বাড়িতে তিনি বাবা-মা ও ভাইবোনের সঙ্গে শৈশব ও কৈশোর কাটিয়েছেন। ১৯৪৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিয়ের পর তিনি স্বামীর সঙ্গে কলকাতায় চলে যান। ১৯৮৭ সাল থেকে ইজারার মাধ্যমে বাড়িটি দখলে নেন জামায়াত নেতারা। ২০০৯ সাল থেকে পাবনাবাসী বাড়িটি দখলমুক্ত করে সেখানে সুচিত্রা সেন সংগ্রহশালা করার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। ২০১৪ সালে বাড়িটি দখলমুক্ত হয়। বর্তমানে বাড়িটিতে পাবনা জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংগ্রহশালা করা হয়েছে।

সুচিত্রা সেনের বাড়িতে যাওয়ার আগে মনোজ কুমার শহরের হেমায়েতপুরে শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকুল চন্দ্রের আশ্রম পরিদর্শন করেন।