মহানায়িকার ৯৩তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এ উৎসবের সমাপনী দিনে পুরস্কার দেওয়া হয়।
Published : 23 Apr 2024, 11:57 AM
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে হয়ে গেলো ‘সুচিত্রা সেন আন্তর্জাতিক বাংলা চলচ্চিত্র উৎসব’। মহানায়িকার ৯৩তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এ উৎসবের সমাপনী দিনে সেরা অভিনেতা, অভিনেত্রী ও নির্মাতাদের পুরস্কার দেওয়া হয়।
শনি ও রোববার নিউ ইয়র্কের জ্যামাইকা পারফর্মিং আর্টস সেন্টারে এ উৎসবে ৩৯টি ফিচারফিল্ম, ডক্যুফিল্ম ও শর্ট ফিল্ম প্রদর্শিত হয়।
‘পাশা’ সিনেমার নায়ক চরিত্রে অভিনেতা রাজুব ভৌমিক ‘প্রবাসের সেরা অভিনেতা’ হিসেবে পুরস্কার পান। তার হাতে পদক তুলে দেন অভিনেত্রী রেখা আহমেদ ও লুৎফুন্নাহার লতা।
মুক্তিযোদ্ধা নুরুন্নবীর লেখা বই ‘বুলেট অব দ্য সেভেন্টি ওয়ান: অ্যা ফ্রিডম ফাইটারস স্টোরি’ অবলম্বনে ‘ড. নূরন্নবী: আজীবন মুক্তিযোদ্ধা’ প্রামাণ্যচিত্রের নির্মাতা নাদিম ইকবালকে সেরা পরিচালকের পুরস্কার তুলে দেন রেখা আহমেদ।
ডক্যুফিচার ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পান ‘অবাঞ্ছিত জমজ’ ছবির নির্মাতা নানজিবা খান। তার হাতে পদক তুলে দেন রুমানা ও বন্যা।
এছাড়া অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদ ও অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়। তাদের হাতে পদক তুলে দেন উৎসবের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক শাহনেওয়াজ ও আকাশ রহমান। এসময় মঞ্চে ছিলেন অভিনেত্রী মৌসুমী।
ফেরদৌস তার সম্মাননাটি উৎসর্গ করেন ঢাকা-১০ আসনের ভোটারদের। তিনি বলেন, “প্রতিটি পুরস্কারই খুব গুরুত্বপূর্ণ। সবাই জানেন যে, আমার জীবনে একটা পরিবর্তন এসেছে। এতদিন অভিনয় করতাম মৌসুমী আর ঋতুপর্ণার সাথে। এখন সেইদিকে একটু কাজ কমিয়ে দিয়ে চলে গেছি জনগণের প্রতিনিধিত্ব করতে।”
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত বলেন, “জীবনের সাথে, যাপনের সাথে, মননের সাথে, সবকিছুর সাথে জড়িয়ে আছেন একটা নাম, যে নাম যতদিন সিনেমা থাকবে, যতদিন আমরা সবাই থাকবো, এই জীবন থাকবে, ততদিন মাননীয়া সুচিত্রা সেনের নাম থেকে যাবে।”
পুরস্কার পর্বটি উপস্থাপনা করেন শাহরিয়ার নাজিম জয়। ‘সুচিত্রা সেন মেমোরিয়্যাল, ইউএসএ’ এর আয়োজনে উৎসবের মূল সংগঠক ছিলেন হাসানুজ্জামান সাকি এবং আহ্বায়ক গোপাল সান্যাল।
এ উৎসব সম্পর্কে জানতে চাইলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, “নিউ ইয়র্কে ভালো একটি বাঙালি কমিউনিটি আছে। তাদের সামনে চমৎকার একটি সুযোগ এসেছিল ভালো ভালো ছবি দেখার। এই সুযোগটি যারা করে দিয়েছেন তারা অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে। একইসঙ্গে দেখতে হবে, ভালো চলচ্চিত্রের পৃষ্ঠপোষকতা কীভাবে করা যায়। ফেস্টিভ্যাল উপলক্ষ্যে ছবি দেখার আগ্রহ তৈরি হয়। ছবির প্রতি মানুষের আকর্ষণ বাড়ে। সেটি হয়তো এই উৎসবের মধ্য দিয়ে নতুন জায়গা তৈরি করবে।”