টেকনাফে ‘জুস খেয়ে’ একই পরিবারের ৮ জন হাসপাতালে

এক আত্মীয়ের আনা জুস খেয়ে বাড়ির সবাই অচেতন হয়ে পড়েন।

কক্সবাজার ও টেকনাফ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Feb 2023, 03:53 AM
Updated : 6 Feb 2023, 03:53 AM

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় বাজার থেকে কেনা জুস খেয়ে শিশুসহ একই পরিবারের আটজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

তাদের কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী জানান, রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তার ইউনিয়নের পশ্চিম সিকদার পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

অসুস্থরা হলেন- হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম সিকদার পাড়ার আবু বক্করের মেয়ে নাসিমা আক্তার (১৮) ও সেলিনা (১৯), আবু বক্করের ভাই আব্দুর রহিমের মেয়ে রাফিয়া (৩), রাফসানা (৫), নাজমা (৯) ও ছেলে রামিম (৭) এবং আরেক ভাই জসিম উদ্দিনের ছেলে শাওন (২) ও মো. জালালের ছেলে জিসান (৩)।

তাদের স্বজনদের বরাতে ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ বলেন, রোববার সন্ধ্যায় আবু বক্করের বাড়িতে এক আত্মীয় বেড়াতে আসেন। তিনি দোকান থেকে শুকনো খাবার ও বড় একটি জুসের প্যাকেট সঙ্গে এনেছিলেন। ওই জুস বাড়ির লোকজন পান করার কিছুক্ষণ পরই সবাই অচেতন হয়ে পড়ে। পরে বাড়ির অন্য সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

অসুস্থদের চাচা জহির আহমেদ বলেন, বেড়াতে আসা এক আত্মীয়ের আনা প্যাকেটজাত জুস পান করার ২ থেকে ৩ মিনিটের মধ্যে বাড়ির আটজন অসুস্থ বোধ করেন। এক পর্যায়ে সকলেই অচেতন হয়ে পড়ে।

প্রথমে তাদের উদ্ধার করে হ্নীলা স্টেশনের স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাদের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) পরিচালিত হাসপাতালে পাঠান।

পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে জানান জহির।

কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) আশিকুর রহমান বলেন, রোববার রাত ১১ টার দিকে টেকনাফ থেকে অচেতন অবস্থায় শিশুসহ ৮ জনকে হাসপাতালে আনা হয়। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের জ্ঞান ফেরে। বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এ ঘটনায় তারা মানসিকভাবে ‘বিমর্ষ’ হয়ে পড়েছেন বলে জানান এ চিকিৎসক।

আশিকুর বলেন, “যেহেতু জুসটি মেয়াদোত্তীর্ণ নয় তাই প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে তারা অসুস্থ হয়ে থাকতে পারে। তারপরও জুসের নমুনা পরীক্ষা করা গেলে প্রকৃত কারণ জানা সম্ভব হবে।”