এ ঘটনায় মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন রাসিব আকনের মা শিউলী বেগম।
Published : 13 Aug 2024, 04:04 PM
বরিশাল নগরীতে শিক্ষার্থীদের তল্লাশীর সময় ডাকাত সন্দেহে এক তরুণকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ভোরে নগরীর হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
নিহত রাসিব আকন (১৯) বরগুনার বেতাগী উপজেলার ছোপখালী ইউনিয়নের হোসনাবাদ ছোপখালী গ্রামের বাসিন্দা ইউনুস আকনের ছেলে। রাসিব তার বাবার সঙ্গে গভীর নলকূপ স্থাপনের শ্রমিক হিসাবে কাজ করতেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে কোতয়ালী মডেল থানার এসআই মো. মাইনুল ইসলাম বলেন, ভোরের দিকে নগরীর নথুল্লাবাদ থেকে রাসিব ব্যাটারিচালিত রিকশায় হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা এলাকায় পৌছুলে ট্রাফিকের দায়িত্বে নিয়োজিত শিক্ষার্থীরা তাকে তল্লাশী করে।
এ সময় রাসিবের কাছে একটি চাকু ও বগি দা পাওয়া যায়। পরে তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা ডাকাত সন্দেহে তাকে পিটিয়ে আহত করে।
সরকারি বরিশাল হাতেম আলী কলেজের ডিগ্রির শিক্ষার্থী শেখ সাফায়েত বলেন, ভোর রাতের দিকে শিক্ষার্থীরা রাসিবকে তল্লাশী করলে তার কাছে থাকা ব্যাগ থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। তখন মানুষ ডাকাত সন্দেহে তাকে পিটুনি দেয়।
সাফায়েতের দাবি, “উদ্ধার করা দা ও রাসিবের পরিহিত গেঞ্জিতে রক্তের দাগ ছিল। সে স্বীকার করেছে ঝামেলা করে এসেছে।”
পরে রাসিবকে উদ্ধার করে কোতয়ালী মডেল থানায় নেওয়া হয়।
ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় রাসিবকে থানায় নিয়ে আসে শিক্ষার্থীরা। পরে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। লাশ বর্তমানে হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।
হাসপাতাল মর্গের সামনে থাকা রাসিবের মা শিউলী বেগম বলেন, তার স্বামীর সঙ্গে ছেলেও সিলেটে গভীর নলকুপ স্থাপনের কাজ করে। সোমবার সন্ধ্যা ৭ টায় সিলেট থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছিল তার ছেলে।
শিউলী বেগম বলেন, “ছেলের কাছে নাকি চাকু, না যেন কি পেয়েছে। এইজন্য পিটিয়েছে। পরে ফোন করে ছেলেকে নিয়ে যেতে বলেছে।
“আমি এসে কোতয়ালী মডেল থানায় ছেলেকে পেয়েছি। তখন ছেলে একটু পানি খেতে চায়। পানি দেওয়ার সাথে সাথে মারা গেছে আমার ছেলে।”
এ ঘটনায় মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন শিউলী বেগম।
ওসি মোস্তাফিজুর বলেন, ময়নাতদন্তের পর লাশ হস্তান্তর করা হবে। অভিযোগ পেলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।