“আন্দোলন চলাকালে বিশেষ করে ৪ অগাস্ট নগরীতে অবৈধ অস্ত্রের মহড়া প্রত্যক্ষ করা গেলেও সেসব অস্ত্র এখনও উদ্ধার হয়নি।”
Published : 10 Feb 2025, 11:48 PM
সিলেট নগরীতে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার না হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপির নেতারা।
জেলা ও মহানগর বিএনপির উদ্যোগে সোমবার বিকালে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সিলেট নগরীর কুমারপাড়ায় প্ল্যাটিনাম লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে নেতারা এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, “আন্দোলন চলাকালে বিশেষ করে ৪ অগাস্ট নগরীতে অবৈধ অস্ত্রের মহড়া প্রত্যক্ষ করা গেলেও সেসব অস্ত্র এখনও উদ্ধার হয়নি। উপরন্তু, এসব অবৈধ অস্ত্র চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে।”
সারাদেশে শুরু হওয়া ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ এর মাধ্যমে এসব অস্ত্রধারীদের গ্রেপ্তার করে নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানান তিনি।
চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীদের ব্যাপারে বিএনপি ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি রয়েছে জানিয়ে আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, “বিভিন্ন অভিযোগে সিলেটে বিএনপি ১০ জনকে বহিষ্কার করেছে। সমাজবিরোধী কাজের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে দলের পক্ষ থেকে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হচ্ছে।”
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “ভাঙচুরের সঙ্গে বিএনপির কোনো পর্যায়ের নেতাকর্মী জড়িত নেই। এই সরকার প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে জাতিকে একটি সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেবে এটাই সবার আশা।”
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী।
তিনি বলেন, “সিলেটে প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্তরা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছেন না। এ নিয়ে সচেতন মানুষের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে সিলেটের মানুষ ক্ষমা করবে না এবং যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনার দায়ভার বিএনপি কোনোভাবেই নেবে না।”
এ সময় আরও বক্তব্য দেন সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী।
এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন- মহানগর বিএনপির সহসভাপতি ডা. নাজমুল ইসলাম, ডা. আশরাফ আলী, রহিম মল্লিক, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাসান আহমদ পাটোয়ারী রিপন, সিদ্দিকুর রহমান পাপলু, আনোয়ার হোসেন মানিক, মামুনুর রশীদ মামুন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহিদ সুহেল, নাদির খান, মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ সাফেক মাহবুব, রফিকুল ইসলাম রফিক, জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমদ, মহানগর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক তারেক আহমদ খান, জেলা বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট বদরুল ইসলাম, মহানগর বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সাঈদুর রহমান হিরু, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক লুৎফুর রহমান মোহন, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল ইসলাম খায়ের, জেলা বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক অর্জুন ঘোষ, আহাদ চৌধুরী শামীম, মহানগর বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ রহিম আলী রাসু, শফিক নূর, জেলা বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক মাহবুব আলম, মহানগর বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক আব্দুল মালেক, জেলা বিএনপির সহক্রীড়া সম্পাদক সুমেল আহমদ চৌধুরী, জেলা বিএনপির সহমানবাধিকার সম্পাদক মিনহাজ উদ্দিন চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সদস্য আব্দুল মুনিম, মো. হারুনুর রশিদ, জাকির হোসেন পারভেজ, জেলা উলামা দলের আহ্বায়ক মৌলানা নুরুল ইসলাম।