নারায়ণগঞ্জে নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার ৩১

গত ১৭ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলার সাত থানায় মোট ১০টি মামলা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Dec 2022, 05:46 PM
Updated : 2 Dec 2022, 05:46 PM

নারায়ণগঞ্জের সাত থানায় নাশকতার মামলায় বিএনপি ও নাগরিক ঐক্যের ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ জানিয়েছে। 

গত ১৭ নভেম্বর থেকে বৃহস্পতিবার [১ ডিসেম্বর] পর্যন্ত জেলার সাত থানায় মোট ১০টি মামলা হয়েছে। 

বিস্ফোরক আইনে করা প্রতিটি মামলাতেই বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা আসামি হয়েছেন। এর মধ্যে সাতটি মামলার বাদী পুলিশ, দুটি মামলায় ছাত্রলীগের দুই কর্মী এবং একটিতে শ্রমিক লীগের নেতা বাদী হয়েছেন। 

ফতুল্লা মডেল থানার ওসি রিজাউল হক দিপু জানান, ফতুল্লা মডেল থানায় নাশকতার অভিযোগে দুটি মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত ফতুল্লার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম ওরফে নজু মাতবর, স্বপন মিয়া, বিএনপিকর্মী মীর মাসুদ, মোহাম্মদ আলী ও নাজমুল হুদা শিবলু – এই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপি ও নাগরিক ঐক্যের ৬ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার  হয়েছেন। 

তারা হলেন নাগরিক ঐক্যের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সমন্বয়ক আলী হোসেন ওরফে নূর আলী, নাগরিক ঐক্যের কর্মী মেহেদী হাসান রতন, বিএনপি নেতা দিদার আলম, বিএনপি কর্মী সুজন, রুবেল, রবিউল হাসান। 

সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় গত ২৭ নভেম্বর ও ১ ডিসেম্বর দুটি নাশকতার মামলা হয়েছে। 

এই থানার ওসি মশিউর রহমান জানান, রতনকে ১ ডিসেম্বরের মামলায় এবং বাকিদের ২৭ নভেম্বরের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতেই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

এদিকে আড়াইহাজার থানায় পুলিশের করা মামলায়ও দুইজন বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানিয়েছেন ওসি আজিজুল হক হাওলাদার। 

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার রাতে মোহাম্মদ ইকবাল হাসান ও ইছহাক নামে দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

রূপগঞ্জে বিস্ফোরক আইনে ছাত্রলীগ কর্মীর মামলায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ূন কবির মোল্লা। 

তারা হলেন চনপাড়া গ্রামের তৌকির আহমেদ, মো. জাহিদ, শাহাদাত ওরফে বাবু, কায়েতপাড়ার পূর্বপাড়া এলাকার আজগর আলী, তারাবো বিশ্বরোড খালপাড় এলাকার জুয়েল মাহমুদ, যাত্রামুড়া এলাকার ইমরান খান ও মর্তুজাবাদ এলাকার মোমেন মিয়া। 

সদর মডেল থানায় গত ২৯ ও ১ ডিসেম্বর দুটি মামলা করে পুলিশ। ১ ডিসেম্বরের মামলায় গতরাতে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান এই থানার ওসি আনিচুর রহমান মোল্লা। 

বন্দর থানার ওসি আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, ছাত্রলীগ কর্মীর করা বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় বৃহস্পতিবার রাতে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

আওয়ামী লীগ নেতার করা মামলায় বিএনপির পাঁচ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তারের কথা জানান সোনারগাঁ থানার ওসি মাহবুব আলম। 

এদিকে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বাড়িতে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ অভিযান চালিয়েছে বলে জানান জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক সাংসদ মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন। 

তিনি বলেন, “গত ১৫ দিনে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের লোকজন মিথ্যা অভিযোগে দশটি মামলা করেছে। যেসব ঘটনা ঘটেনি সেইসব কল্পিত ঘটনা লিখে মামলা হয়েছে। ওইসব মামলার সবগুলোতে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের আসামি করেছে। আমার নাম এজাহারে না থাকলেও গতরাতে পুলিশ আমার বাড়িতে অভিযান চালায়।” 

তিনি বলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ ঠেকাতে সারাদেশেই পুলিশ বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে হানা দিচ্ছে। আওয়ামী লীগ বিরোধীদলকে এইভাবে দমন করতে চাচ্ছে।