বেনাপোলে বন্দরে বৈধ পণ্যের আড়ালে নিষিদ্ধ ঘোষিত ফেনসিডিল ও যৌন উত্তেজক বড়িসহ বিভিন্ন ওষুধ আমদানির অভিযোগ উঠেছে একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।
রোববার সকালে ভারতীয় একটি পণ্যবাহী একটি ট্রাকে আসা এসব মালামাল উদ্ধার করা হয় বলে বেনাপোল শুল্কভবনের যুগ্ম কমিশনার আব্দুল রশীদ মিয়া জানান।
তিনি বলেন, ট্রাকটি বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের পর সেটা থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত এসব মাদক ও যৌন উত্তেজক বড়ি উদ্ধার করা হয়।
“আমদানি পণ্যবাহী ভারতীয় এই ট্রাকে বৈধ পণ্যের সাথে অবৈধ পণ্য আনা হচ্ছে – গোপন সংবাদে ট্রাকটি আটক করা হয়। ট্রাকটি পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে বেনাপোল বন্দরে ঢোকে।”
পরে ট্রাকটি শুল্কভবনে এনে তল্লাশি চালানো হয় জানিয়ে তিনি বলেন, শুল্কভবনে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিদের উপস্থিতে ট্রাকের ত্রিপল খুলে আমদানিকৃত মালের সাথে ৬শ বোতল ফেনসিডিল এবং বিভিন্ন ধরনের ২২ হাজার ৫১৮টি ‘নিষিদ্ধ যৌন উত্তেজক বড়ি’ পাওয়া পায়।
কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানায়, ঢাকার একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ৮৪০ ব্যাগ মাইক্রোসেল পিটি নামে একটি পণ্য আমদানি করেন। এ পণ্যের আমদানি মুল্য ৩৭ হাজার মার্কিন ডলার; বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৩৪ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। পণ্যচালানটির রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের রাজস্থানের 'এসএস ব্লুকেম ইন্ডাস্ট্রি'। বেনাপোলের একটি সিএন্ডএফ এজেন্ট আমদানিকারকের প্রতিনিধি হিসেবে পণ্য চালানটি গ্রহণ করে।
আব্দুল রশীদ মিয়া বলেন, দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র আমদানি পণ্যবাহী ট্রাকে চোরাচালানের মালামাল নিয়ে আসছে। গত ৩ মাসে এ ধরনের বেশ কটি চালান আটক করা হয়েছে।
“ভারতীয় ট্রাকের চালক, আমদানিকারক এবং সিএন্ডএফ এজেন্টের বিরুদ্ধে থানায় ফৌজদারি মামলা করা হবে।”
এর আগে গত ১৫ জুন রাতে বেনাপোল বন্দরে ভারতীয় পণ্যবাহী একটি ট্রাক থেকে আমদানি নিষিদ্ধ ৭৪৯ বোতল ফেনসিডিল, ১৮৬ কেজি গাঁজা, বিপুল পরিমাণ পটকা, ওষুধ ও প্রসাধনী সামগ্রী উদ্ধার করে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ।