লঞ্চ থেকে নদীতে পড়ে নিখোঁজের ১০ ঘণ্টা পর নারীকে জীবিত উদ্ধার

পানের সঙ্গে জর্দা খাওয়ায় জহুরার মাথা ঘুরলে পানি দিয়ে কুলি করে ফেলতে গিয়ে হঠাৎ তিনি নদীতে পড়ে যান বলে পুলিশের ভাষ্য।

শরীয়তপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 May 2023, 01:49 PM
Updated : 4 May 2023, 01:49 PM

শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলায় চলন্ত লঞ্চ থেকে মেঘনা নদীতে পড়ে গিয়ে নিখোঁজ হওয়ার ১০ ঘণ্টা পর এক নারীকে জীবিত উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা।

বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে কোদালপুর ইউনিয়নের ঠাণ্ডাবাজারে আহত অবস্থায় ওই নারীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে জানান গোসাইরহাট থানার ওসি মো. আসলাম সিকদার।

আহত জহুরা (৩৮) ওই উপজেলার কুচাইপট্টি ইউনিয়নের বসকাঠি গ্রামের জহিরুল মৃধার স্ত্রী।

স্বামী জহিরুলের বরাত দিয়ে ওসি আসলাম সিকদার জানান, বুধবার রাত ১০টার দিকে কুচাইপট্রি থেকে জহুরা ও তার স্বামী জহিরুল ঢাকা উদ্দেশে ঈগল-১০ লঞ্চে ওঠেন। লঞ্চটির দোতলার ২০২ নম্বর ক্যাবিনে ওঠার কিছুক্ষণ পর পানের সঙ্গে জর্দা খাওয়ায় জহুরার মাথা ঘুরায়।

এরপর তিনি পানি খেতে চাইলে জহিরুল বোতলে থাকা পানি তাকে দেন। জহুরা মুখের পানি নিয়ে কুলি করে ফেলতে গিয়ে হঠাৎ নদীতে পড়ে যান। তাৎক্ষণিক জহিরুল বিষয়টি চালককে জানালে লঞ্চটি থামিয়ে দুই ঘণ্টা খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে লঞ্চটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

ওসি আরও বলেন, এ সময় জহিরুল পানিতে ঝাঁপিয়ে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। কিন্তু জহুরাকে খুঁজে পাননি। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে স্থানীয় জনতা ও তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন এসে তাকে মারধর করেন।

“ধারণা করা হচ্ছে, ওই নারী কোনোভাবে ঠাণ্ডাবাজার এলাকার একটি চরে গিয়ে আটকা পড়েন। রাতে তিনি সেখানেই ছিলেন। সকালে লোকজন তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে। তিনি এক পায়ে আঘাত পেয়েছেন”, যোগ করেন ওসি।  

লঞ্চের কেবিন বয় মো. বিল্লাল জানান, একজন যাত্রী পড়ে যাওয়ার খবর পেয়ে লঞ্চটি অনেকক্ষণ সেখানে নোঙর করে রেখে খোঁজাখুঁজি করা হয়। কিন্তু নিখোঁজের সন্ধান না পেয়ে তারা যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন। তবে ঘটনাস্থলে লঞ্চের লোক রেখে যান।