তবে দুই হাজারের বেশি পর্যটক যাতায়াত ও রাত যাপনের নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে বলে জানিয়েছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন।
Published : 25 Nov 2024, 08:45 PM
কক্সবাজারের সেন্ট মার্টিনে আগামী ২৮ নভেম্বর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
তবে মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দুই হাজারের বেশি পর্যটক যাতায়াত ও রাত যাপনের নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা নির্বাহী হাকিম (এডিএম) নিজাম উদ্দিন আহমেদ।
এ ছাড়া পর্যটকবাহী জাহাজ কোন স্থান থেকে ছাড়বে, তা মন্ত্রণালয়ের গঠন করা ‘সেন্টমার্টিন দ্বীপে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও সেন্ট মার্টিনগামী জাহাজ ছাড়ার পয়েন্ট নির্ধারণ’ সংক্রান্ত কমিটি নির্ধারণ করবে বলে জানান তিনি।
এর আগে ১৯ নভেম্বর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত ছয় সদস্যের একটি কমিটি করে।
সোমবার সন্ধ্যায় নির্বাহী হাকিম নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, সেন্ট মার্টিনগামী পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের জন্য প্রথমে জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হয়। পরে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ‘কেয়ারি সিন্দাবাদ’ নামের একটি জাহাজ কর্তৃপক্ষকে অনুমতি দেয় জেলা প্রশাসন।
তিনি বলেন, “মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দ্বীপে দুই হাজারের বেশি পর্যটক যাতায়াত করতে পারবে না। এ ছাড়া নভেম্বর ও ফেব্রুয়ারিতে দ্বীপে রাত যাপনের নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। তবে ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে পর্যটকরা দ্বীপে রাত যাপন করতে পারবেন।
“জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হলেও কোন স্থান থেকে ছাড়া হবে তা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। এই ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের গঠন করা কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে।”
সেন্ট মার্টিন দ্বীপে পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও জাহাজ ছাড়ার পয়েন্ট নির্ধারণ সংক্রান্ত কমিটির আহ্বায়ক ও কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিলুফা ইয়াছমিন চৌধুরী বলেন, মঙ্গলবার বিকালে সদর উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে কমিটির প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে পরিবেশসহ সার্বিক বিষয় নিয়ে পর্যালোচনার ভিত্তিতে জাহাজ ছাড়ার স্থান নির্ধারণ করা হবে।
তিনি জানান, মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সংঘাতের জেরে নাফ নদী দিয়ে সেন্ট মার্টিন যাতায়াত অনিরাপদ হয়ে উঠেছে। এ নিয়ে কমিটির সদস্যদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক যে আলাপ হয়েছে, তাতে সবাই জাহাজ ছাড়ার পয়েন্ট হিসেবে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া বিআইডব্লিউটিএ জেটি ঘাট অথবা ইনানী নৌবাহিনীর জেটি ঘাটের কথা বলেছেন।
সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটেনি