কৃষক সমিতির উদ্যোগে শহরের পৌরপার্কে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
Published : 05 Jan 2025, 06:08 PM
শোষণ-বৈষম্যহীন কৃষি ব্যবস্থা, সেচের পানি বিতরণ ও অপারেটর নিয়োগে অনিয়ম-হয়রানি বন্ধের দাবিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ কৃষক সমিতি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার উদ্যোগে রোববার দুপুরে শহরের পৌরপার্কে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের জেলা কমিটির সভাপতি কৃষক নেতা হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবিদ হোসেন, নির্বাহী কমিটির সদস্য রাগীব আহসান মুন্না, জেলা কমিটির সহসভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হাসেন আলী, সিপিবি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি মো. ইসরাইল সেন্টু, সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল উদ্দিন, কৃষক সমিতি জেলা কমিটির সহসভাপতি ও সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির সংগঠক আবু হাসিব, জেলা কমিটির সহসাধারণ সম্পাদক শারিফুল ইসলাম। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন সংগঠনের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিলন পাল।
বক্তারা বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠনে মধ্য দিয়ে সারাদেশে এক নতুন সম্ভাবনার সৃষ্টি হয়। কৃষকরা দীর্ঘদিনের শোষণ-বৈষম্য থেকে মুক্ত হওয়ার নতুন স্বপ্ন দেখতে থাকে। কিন্তু সরকারের পাঁচ মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও কৃষকের জন্য শোষণ-বৈষম্যহীন কৃষি ব্যবস্থার কোনো কৃষিবান্ধব উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। বরেন্দ্র অঞ্চলসহ সারাদেশের প্রকৃত গরিব প্রান্তিক কৃষক জনগোষ্ঠীর শ্রমে আর ঘামে ফসল উৎপাদন আর জীবন-জীবিকা এক চরম সংকট আর অনিশ্চয়তার পথে।
তারা বলেন, বরেন্দ্র অঞ্চলে ভূ-প্রকৃতির কারণে শুষ্ক মৌসুমে মাটির আর্দ্রতা মারাত্মকভাবে কমে যায়। উঁচু বরেন্দ্র ভূমি রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ জেলার আবহাওয়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় রুক্ষ এবং চরমভাবাপন্ন। এই অঞ্চলে বৃষ্টি কম হয়। মৌসুমভিত্তিক হলেও বৃষ্টির পানি ধরে রাখতে না পারায় এবং পানির সুষম বণ্টন না হওয়ায় আমন ধান লাগানো যায় না ফলে অধিকাংশ সময়ে আমন ধানের চাষ দেরি হওয়ায় পরবর্তী ফসল চাষের সুযোগ বিঘ্নিত হয়।
বক্তারা বলেন, এ সমস্যার কারণে বরেন্দ্র অঞ্চলে আমন ধান কাটার পরে রবি মৌসুমে প্রায় ৮০ হাজার হেক্টর জমি অনাবাদি থাকে। অসম বৃষ্টিপাতের কারণে আমন ধানের বৃদ্ধির বিভিন্ন পর্যায় খরা আক্রান্ত হয় যা ফলনে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় কৃষকেরা।