সেনা সদস্যের করা মামলায় বাকি আসামিদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানায় পুলিশ।
Published : 13 Feb 2025, 09:06 PM
ট্রেনে ও রাজশাহী স্টেশনে যাত্রীকে মারধরের অভিযোগে রেলওয়ের গার্ডসহ তিনজনকে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে সেনাবাহিনীর একটি দল তাদের গ্রেপ্তার করে বলে রাজশাহী রেলওয়ে থানার ওসি ফয়সাল বিন আহসান জানান।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন, ঢাকা-রাজশাহী পথে চলা সিল্কসিটি এক্সপ্রেসের গার্ড আলী আজম, অ্যাটেনডেন্ট মনছেহার আলী ও আল-আমিন।
বিকালে মারধরের অভিযোগ এনে ইসমাইল হোসেন নামে ওই যাত্রীর করা মামলায় তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার বাদী ইসমাইল হোসেন সেনাবাহিনীতে কর্মরত। তিনি সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকা থেকে রাজশাহী যান।
ওসি ফয়সাল বিন আহসান বলেন, “ইসমাইলের মামলায় গ্রেপ্তার ওই তিনজন ছাড়াও রেলের আট কর্মীকে আসামি করা হয়েছে। বাকিদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”
মামলায় অভিযোগের বরাদ দিয়ে ওসি আরও বলেন, ইসমাইল হোসেন বুধবার রাতে ঢাকা থেকে সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনে রাজশাহী আসছিলেন। আসন না পাওয়ায় তিনি স্ট্যান্ডিং টিকিটে ভ্রমণ করছিলেন।
মামলার অভিযোগে তিনি আরো বলেন, শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় রেলওয়ের কর্মীদের তিনি অনুরোধ করেন, বসানোর ব্যবস্থা করতে। কিন্তু রেলকর্মীরা তাকে বসানোর ব্যবস্থা করেননি।
যদিও ইসমাইল হোসেন লক্ষ্য করেন, বিনা টিকিটে ভ্রমণ করা যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাদের বসানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তিনি এর প্রতিবাদ করেন।
এ সময় রেলওয়ের কর্মীদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কির এক পর্যায়ে তাকে মারধর করা হয় বলে তিনি মামলায় বলেন।
রাত ১০টার দিকে ট্রেনটি রাজশাহী স্টেশনে আসার পর প্ল্যাটফর্মে নামলে আবারও ওই সেনাসদস্যকে এলোপাথাড়ি মারধর করে রেলওয়ের ওই কর্মীরা চলে যান।
ঘটনা জানতে পেরে রাতেই রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে সিসি ক্যামেরার ভিডিও সংগ্রহ করে সেনাবাহিনীর একটি দল।
রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার ময়েন উদ্দিন বলেন, “সকালে বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনে ডিউটির জন্য রেলওয়ের গার্ড আলী আজম এবং অ্যাটেনডেন্ট মনছেহার আলী ও আল-আমিন স্টেশনে আসেন। তখন সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের আটক করে রেলওয়ে থানায় নিয়ে যান। সিসি ক্যামেরার ভিডিও দেখে তাদের শনাক্ত করে সেনাবাহিনী।”
“স্টেশন থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে,” বলেন স্টেশন মাস্টার।