“টিপুর শারীরিক অবস্থা ভালো না। তার ঘাড়ে একটি ধারালো অস্ত্রের গুরুতর আঘাত রয়েছে।”
Published : 06 Sep 2024, 09:48 PM
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু তার দলীয় কর্মীদের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার বিকালে বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জ এলাকায় হামলার শিকার এই বিএনপি নেতা শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান জানিয়েছেন।
সাখাওয়াতের অভিযোগ, এই হামলার পেছনে মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি (বহিষ্কৃত) আতাউর রহমান মুকুল ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কাউসার আশার ‘ইন্ধন’ রয়েছে।
মুকুল ও আশা অভিযোগ অস্বীকার করে বলছেন, দলীয় নেতা-কর্মীদের ‘মামলায় ফাঁসিয়ে হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবি করায়’ দলের একদল ক্ষুব্দ কর্মী তাকে মারধর করেছে।
ঘটনার পর আহত আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে শহরের খানপুর এলাকার নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও বিএনপির কয়েকজন নেতা জানান, বিকালে বন্দর একটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে কর্মীদের নিয়ে উপজেলার তিনগাঁও এলাকায় যাচ্ছিলেন টিপু। পথে তিনি হামলার শিকার হন। তাকে মারধর করার একটি ভিডিওতেও তাকে রাস্তায় ফেলে পেটাতে দেখা গেছে।
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত বলেন, “টিপুর শারীরিক অবস্থা ভালো না। তার ঘাড়ে একটি ধারালো অস্ত্রের গুরুতর আঘাত রয়েছে। শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে সে।
হামলার ঘটনায় টিপু ছাড়াও তার সাথে থাকা আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে বিএনপির এ নেতা জানিয়েছেন।
টিপুকে মারধরের বিষয়ে বিএনপি নেতা আতাউর রহমান মুকুল বলেন, “তাদের সঙ্গে কিছু থেকে কিছু হলেই আমার নাম বলে। টিপুর তো মাইর খাওয়ার কথাই ছিল। সে দলের নেতা-কর্মীদের হত্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে চাঁদাবাজি করে বেড়াচ্ছিল।
“অনেক নেতা-কর্মী তার উপর ক্ষুব্ধ। তাদেরই কেউ আজকে তাকে মারধর করেছে। কিন্তু এতে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নাই।”
একই কথা বলেছেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কাউসার আশাও। অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে টিপুর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে বন্দর থানার ওসি গোলাম মোস্তফার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন পোশাক শ্রমিক মিনারুল ইসলামের নিহতের ঘটনায় গত মঙ্গলবার সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন তার ভাই নাজমুল হক। ওই মামলায় আওয়ামী লীগ নেতাদের পাশাপাশি বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আতাউর রহমান মুকুলও আসামি বলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি আবু বক্কর সিদ্দিক জানিয়েছেন।
এই মামলায় তাকে জড়ানোর পেছনে সাখাওয়াত ও টিপুর ইন্ধন রয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন মুকুল।