পুলিশের ধারণা, মুহিনকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মরদেহ বস্তায় বেঁধে ট্রাঙ্কে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল।
Published : 24 Feb 2025, 04:36 PM
গোপালগঞ্জের সদর উপজেলায় নিখোঁজের দুইদিন পর ভাড়াটিয়ার ঘরের ট্রাঙ্কের ভেতর বস্তাবন্দি স্কুল ছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোমবার ভোরে উপজেলার চন্দ্রদীঘলীয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর চরপাড়া গ্রামে লাশটি পাওয়া যায় বলে গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মির মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান জানান।
নিহত আবু তালহা মুহিন মোল্লা চন্দ্রদীঘলীয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মাঞ্জারুল ইসলাম মঞ্জু মোল্লার ছেলে।
এ ঘটনার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের চন্দ্রদীঘলীয়ায় দুপুর ১২টা থেকে ১ টা পর্যন্ত মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন এলাকাবাসী।
ওসি মির মোহাম্মদ সাজেদুর বলেন, শনিবার সকালে বাড়ির পাশের দোকানে জুস কিনতে গিয়ে নিখোঁজ হয় মুহিন। পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
“রোববার পুলিশ মুহিনের বাড়ির ভাড়াটিয়া আমিন, ওই গ্রামের শাওন, ইসান এবং সিহাবকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে।”
তিনি বলেন, “পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার ভোররাতে আমিনের ঘরের ট্রাঙ্কের মধ্যে বস্তাবন্দি অবস্থায় মুহিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় আমিনের মা শাহানারা বেগমকে আটক করা হয়।”
শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মরদেহ বস্তায় বেঁধে ট্রাঙ্কে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল বলে ধারণা এই পুলিশ কর্মকর্তার।
ওসি বলেন, “তবে কেন হত্যা করা হয়েছে তা প্রাথমিকভাবে জানাতে পারেনি পুলিশ। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।”
নিহত মুহিনের চাচা ওলিয়ার রহমান মোল্লা বলেন, “মুহিনের বাবা মঞ্জু ইউপি মেম্বার ও ইটভাটা মালিক। তার কাছে অনেক টাকা আছে। তাই তার ছেলেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করা যাবে। সে উদ্দেশে মুহিনকে অপহরণ করা হয় বলে আমরা সন্দেহ করছি।
“অপহরণের পর তাদের বাড়ির ভাড়াটিয়া আমিনের ঘর থেকে মুহিনকে অন্যত্র নিতে অপহরণকারীরা ব্যর্থ হয়। তারপর তারা তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ বস্তাবন্দি করে ট্রাঙ্কে মধ্যে লুকিয়ে রাখে।”
তিনি বলেন, “এ ঘটনার প্রতিবাদে এলাকাবাসী খুনিদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শান্তির দাবি জানাচ্ছি।”