চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় সোলার সেচ পাম্পের পাইপের ভেতর থেকে এক নারীর ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তার স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলার আইলহাস ইউনিয়নের পোলবাগুন্দা গ্রামের মাঝের পাড়ার মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান আলমডাঙ্গা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম।
নিহত ডালিয়া খাতুন (৪৫) একই গ্রামের ফোন্টু মণ্ডলের (৫২) স্ত্রী।
থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল আলিম জানান, ফোন্টু মণ্ডলের পরকীয়া সম্পর্ক নিয়ে সন্দেহের জেরে স্ত্রী ডালিয়া খাতুনের সঙ্গে তার পারিবারিক কলহ চলছিল।
এর মধ্যে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ডালিয়াকে না পেয়ে খোঁজাখুজি করতে থাকেন স্বজনরা। এর পর সকালে ফোন্টুকে কোদাল হাতে মাঠ থেকে আসতে দেখে তাদের সন্দেহ আরও বেড়ে যায়। তখন পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা মাঠে খোঁজাখুঁজি শুরু করে।
বৃহস্পতিবার বিকালে পোলবাগুন্দা গ্রামে মাঝের পাড়া মাঠের ভুট্টা ক্ষেতের মধ্যে নিহতের চুল ও রক্ত পড়ে থাকতে দেখা যায়। তার পাশেই সোলার সেচ পাম্পের পাইপের ভিতরে মরদেহ ফেলে রাখা হয়েছে বলে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় বেশ কয়েক ঘণ্টা চেষ্টার পর ২০ ফুট পাম্পের পাইপ খুড়ে তার ভিতর থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী ডালিয়া খাতুনকে বুধবার রাতেই কোনো এক সময় ফোন্টু মণ্ডল হত্যা করেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিহত ডালিয়া খাতুনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।
ওসি সাইফুল আরও বলেন, “এ ঘটনায় নিহতের ছেলে জামিরুল ইসলাম বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছেন। ফোন্টু মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকারও করেছেন।”
গ্রেপ্তার ফোন্টু মণ্ডলকে শুক্রবার আদালতে সোপর্দ করা হবে বলেও জানান ওসি।