কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে দুই কৃষককে একদল রোহিঙ্গা বন্দুকধারী অপহরণ করেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। একই সময়ে আরও তিনজনকে ‘গুলিতে ও কুপিয়ে’ আহত করেছে একই দলের লোকজন।
বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের পানখালী ও মরিচ্যাঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী জানিয়েছেন।
নিখোঁজ দুজন হলেন হ্নীলা ইউনিয়নের পানখালীর প্রয়াত উলা মিয়ার ছেলে নজির আহমদ (৫০) ও তার ছেলে মোহাম্মদ হোসেন (২৭)।
আহত তিনজন হলেন একই এলাকার আবুল মঞ্জুরের ছেলে মো. শাহজাহান (৩৫), ঠাণ্ডা মিয়ার ছেলে আবু বক্কর (৪০) ও আবু বক্করের ছেলে মেহেদী হাসান (১২)।
গুলিবিদ্ধ শাহজাহানকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে এবং আবু বক্কর ও তার ছেলে মেহেদীকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
একটি মোবাইল ফোন থেকে অপহৃতদের পরিবারের কাছে মুক্তিপণ হিসেবে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করা হলেও নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে বলে স্বজনরা জানান।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য আবুল মঞ্জুর জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে ওই পাঁচজন খেতে কাজ করতে যান। সেখান থেকে তাদের ১০-১২ জন ‘রোহিঙ্গা’ যুবক অপহরণ করে পাহাড়ে নিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে কৃষকদের স্বজনেরা দল বেঁধে ঘটনাস্থলের দিকে গেলে আহত তিনজনকে ‘গুলি করে ও কুপিয়ে’ ফেলে রেখে বাকি দুজনকে অস্ত্রের মুখে পাহাড়ের ভেতরের দিকে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা।
হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, হ্নীলার পানখালী ও মরিচ্যাঘোনা পাহাড়ি এলাকার কৃষকদের খেতখামার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য পাহাড়ের পাদদেশে যেতে হয়। ধান ও শসাক্ষেত থেকে দুই কৃষককে ‘রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা’ অস্ত্রের মুখে অপহরণ করেছে।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি মো. হাফিজুর রহমান বলেন, “স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছ থেকে বিষয়টি শুনেছি। এ ঘটনা নিয়ে পুলিশ কাজ করছে।”