জামালপুরে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টাকারীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

অপহরণ এবং হত্যা চেষ্টাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন এলাকাবাসী।

জামালপুর প্রতিনিধি
Published : 12 August 2022, 06:55 PM
Updated : 12 August 2022, 06:55 PM

জামালপুরে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টাকারীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

জামালপুর প্রতিনিধি, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

জামালপুরে একটি বেসরকারি সংস্থার এক মাঠকর্মীকে অপহরণ ও হত্যার চেষ্টা মামলার আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী।

শুক্রবার দুপুরে ময়মনসিংহ-জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের শরিফপুর বাজারে ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন জামালপুর উন্নয়ন সংঘের পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম, স্থানীয় আনিস মেলেটারি, মিল্টন আকন্দ, সোহেল রানা।

এ সময় বক্তারা এই অপহরণ এবং হত্যা চেষ্টাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন। পরে মানববন্ধনে অংশ নেওয়া বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল করে।

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, চাঞ্চল্যকর এ মামলার আসামিরা প্রকাশ্য ঘুরে বেড়ালেও রহস্যজনক কারণে এখনো তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

অপহরণের শিকার তরুণী (২৩) জামালপুর সদর উপজেলার শরিফপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি জামালপুর সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজে ডিগ্রি শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী।

জামালপুর উন্নয়ন সংঘের এক মাঠকর্মীর সঙ্গে দেখা করার কথা বলে গত ৫ অগাস্ট বাড়ি থেকে বের হয়ে তিনি নিখোঁজ হন। এর ছয়দিন পর গত বুধবার রাতে নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার এক নির্জনস্থান থেকে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার তার মা বাদী হয়ে জামালপুর সদর থানায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলায় দায়ের করেন।

মামলার আসামিরা হলেন- সদর উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে মামুন মিয়া, তার বাবা চাঁন মিয়া, শরিফপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলম আলী, শরিফপুর গ্রামের আব্দুল করিমের স্ত্রী দিপা বেগম ও হামিদপুর গ্রামের দানেছ উদ্দিনের ছেলে মমিন।

মামলার বাদী সাংবাদিকদের বলেন, “ওই এলাকার চাঁন মিয়ার ছেলে মামুন মিয়া বিয়ের প্রলোভনে আমার মেয়ের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে। পরে সে বিয়ে করতে অস্বীকার করে। তিন মাস আগে সালিশ বৈঠকে আপস-মীমাংসার মাধ্যমে মামুনের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর আমার মেয়ের ওপর মামুনের শারীরিক ও অমানুসিক নির্যাতন শুরু হয়।”

তিনি জানান, এ ঘটনায় তার মেয়ে গত ২১ জুন সদর থানায় মামুন মিয়ার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলার পর মামুন, তার পরিবার ও তার চাচাতো ভাই শরিফপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলম আলী চরম ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে তার মেয়েকে হুমকি দিয়ে আসছিলেন মামুন।

“মামুন মিয়া ও ইউপি চেয়ারম্যান আলমসহ আসামিরা তাকে অপহরণ করে নির্যাতনের পর মৃত ভেবে নেত্রকোনার পূর্বধলার নির্জনস্থানে ফেলে রাখেন।”

মামলার বাদী আরও বলেন, তার মেয়ে বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।

জামালপুর সদর থানার পরিদর্শক কাজী শাহনেওয়াজ জানান, আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।