সোমবার সকাল ১০টা ৫০ মিনিট থেকে শুরু করে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত অবরোধ চলাকালে আশপাশের স্টেশনে ট্রেন আটকে হাজার হাজার যাত্রী ভোগান্তির শিকার হন। পরে রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার আব্দুর রাকিব বলেন, “অনিয়মিত রেলওয়ের শ্রমিকরা ছাঁটাই আশঙ্কা করছেন। তারা ঠিকাদারের মাধ্যমে আউটসোর্সিং ভিত্তিতে জনবল নিয়োগের প্রতিবাদ করেছেন।”
“আন্দোলনের একপর্যায়ে তারা ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় ঢাকার সঙ্গে ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহীসহ বিভিন্ন পথে চলাচলকারী ট্রেনগুলো বিভিন্ন স্টেশনে যাত্রাবিরতি করতে বাধ্য হয়।”
টঙ্গী স্টেশনে কর্মরত অনিয়মিত এক শ্রমিক বলেন, “আমরা ৩৫-৩৬ বছর ধরে অনিয়মিত শ্রমিক হিসেবে রেলবিভাগকে সেবা দিচ্ছি। আমরা জানতে পেরেছি, রেলবিভাগে অনিয়মিত এসব শ্রমিকদের চাকরিচ্যুত করে আউটসোর্সিং প্রথায় জনবল নিয়োগ করা হবে।”
“আমাদের চাকরির আর বয়সও নেই। এ অবস্থায় চাকরিচ্যুত হলে কী করে খাব? কিভাবে সংসার চালাব? দাবি না মানলে আরও বড় আন্দোলনে যাব।”
এ দিকে জয়দেবপুর জংশনের স্টেশন মাস্টার রেজাউল ইসলাম বলেন, ঢাকা-ময়মনসিংহ পথের ধীরাশ্রমেও অনিয়মিত শ্রমিকরা রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়।