ফজলে রাব্বী তোহা নামের এই ব্যক্তি বগুড়া জেলা বিএনপির সাবেক ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক।
সম্প্রতি তিনি নন্দীগ্রাম উপজেলার নন্দহ দাখিল মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি হয়েছেন।
ফজলে রাব্বি তোহা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ওই মাদ্রাসার নিয়মিত কমিটি না থাকায় এডহক কমিটি গঠনের জন্য মাদ্রাসা সুপার তার [ফজলে রাব্বী তোহা] নাম ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠালে গত ২৭ জুন কমিটি পাশ হয়।
নাশকতা মামলার আসামি বলে স্বীকার করে তিনি বলেন, “ওই মামলা ছিল ষড়যন্ত্রমূলক।”
মিটিং আছে বলে আর কোনো কথা বলতে রাজি হননি তিনি।
এ বিষয়ে মাদ্রাসা সুপার মোস্তাফিজার রহমান বলেন, সবই ঠিক আছে।
ফজলে রাব্বী তোহা নাশকতা মামলার আসামি কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “মিটিংয়ে আছি। এখন কথা বলতে পারব না।”
নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আনোয়ার হোসেন রানা বলেন, “একজন নাশকতা মামলার আসামিকে কীভাবে সভাপতি করা হয়, তাও আবার সাঈদীকে চাঁদে দেখার গুজবে! ভাবতে অবাক লাগে। বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।”
মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে নন্দীগ্রাম থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, তিনি থানায় নতুন এসেছেন। নথি দেখা ছাড়া জানাতে পারছেন না।
২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ সাইদীর ফাঁসির রায় দেয়। রায়ের বিরুদ্ধে সাঈদী আপিল করলে তার আমৃত্যু কারাদণ্ড হয়। তিনি বর্তমানে কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন।
ট্রাইব্যুনালে সাইদীর ফাঁসির রায়ের কয়েকদিন পর ২০১৩ সালের ৩ মার্চ চাঁদে সাইদীকে দেখার গুজবে বগুড়ার নন্দীগ্রামে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও অবরোধসহ ব্যাপক তাণ্ডব চালানো হয়। ওই সময় তারা উপজেলা পরিষদসহ ১৯টি সরকারি অফিসে অগ্নিসংযোগ করে এবং বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়। এ ঘটনায় চারটি মামলা হয়।