হত্যার প্রায় নয় বছর পর বৃহস্পতিবার গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ মো. আব্বাস উদ্দীন দুপুরে এই রায় ঘোষণা করেন।
একই সঙ্গে আদালত দণ্ডিত ব্যক্তিকে এক লাখ টাকা জরিমানাও করেছে।
দণ্ডিত অজিত বাগচী গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার খোর্দ্দ দূর্বাশুর গ্রামের রমেশ বাগচীর ছেলে। তিনি পলাতক রয়েছেন।
২০১৩ সালের ১৩ অক্টোবর ক্ষমা বিশ্বাস নামের এক নারীকে হত্যার দায়ে এই রায় দিল আদালত।
মামলার নথি থেকে জানা গেছে, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার অজিত বাগচী নিহত ক্ষমা বিশ্বাসের মেয়েকে দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। হত্যাকাণ্ডের আগে এই নারীর মেয়েকে অজিত বিয়ের প্রস্তাবও দেন। ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় তাদের পরিবারকে হুমকিও দিয়ে আসছিলেন।
২০১৩ সালের ১৩ অক্টোবর রাত সাড়ে ১১টার দিকে দুর্গা পূজার অনুষ্ঠান দেখে মেয়ে, ছেলে এবং বোনকে নিয়ে ক্ষমা বিশ্বাস বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ি ফেরার পথে ওই রাতে মেয়েকে অপহরণের চেষ্টা চালালে ক্ষমা বিশ্বাস বাধা দেন।
তখন অজিত বাগচী ছুরি দিয়ে ক্ষমা বিশ্বাসের বুকে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ক্ষমার ছেলে বাধা দিলে তাকেও কুপিয়ে আহত করা হয়।
এ ঘটনায় পরদিন মুকসুদপুর থানায় অজিত বাগচী ও মৃদুল বিশ্বাসকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মুকসুদপুর থানার এসআই আশরাফুল ইসলাম ২০১৩ সালের ১১ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
মামলার অপর আসামি মুকসুদপুর উপজেলার দিস্তাইল গ্রামের মণি মোহন বিশ্বাসের ছেলে মৃদুল বিশ্বাসকে (৩৪) রায়ে খালাস দেওয়া হয়েছে বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শহিদুজ্জামান খান জানান । আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফজলুল হক।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে এপিপি শহিদুজ্জামান খান বলেন, ন্যায় বিচার হয়েছে। আর আসামিপক্ষের আইনজীবী ফজলুল হক উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানান।