সিলেটে ভারি বৃষ্টি, বানভাসিরা আতঙ্কে

বন্যার পানি থাকার মধ্যেই আবারও ভারি বৃষ্টিপাত শুরু হওয়ায় সিলেটের বানভাসি মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

সিলেট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 June 2022, 06:49 AM
Updated : 29 June 2022, 09:44 AM

পাঁচ দিন টানা রোদের পর মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত সিলেটে মুষলধারে বৃষ্টি হয়। তবে চলতি সপ্তাহে হালকা ও ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস থাকলেও বড় ধরনের বন্যা হওয়ার শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

সিলেট পাউবোর উপ-সহকারী প্রকৌশলী এ কে এম নিলয় পাশা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সিলেটে বৃষ্টি হলেও পানি বাড়ার শঙ্কা নেই। কিন্তু ভারতে বৃষ্টি হলে সিলেটে পাহাড়ি ঢল নামতে পারে। এতে ফের বন্যার অবনতি হওয়ার শঙ্কা আছে।”

সিলেটের আবহাওয়া কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী বলেন, “চলতি সপ্তাহে সিলেটে হালকা থেকে ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে।”

গত কয়েকদিন ধরে সিলেটের বিভিন্ন এলাকা থেকে বন্যার পানি নামতে শুরু করলেও এখনও অনেক এলাকা পানিবন্দি।

এরই মধ্যে মঙ্গলবার রাত থেকে সিলেটে আবারও শুরু হয়েছে বৃষ্টি। এতে নগরবাসীর মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

নগরীর তেররতন এলাকা বাসিন্দা আহমদ আলী বলেন, বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও তেররতন এলাকার পানি যেন আটকে আছে। কয়েকদিন যাবত দুর্গন্ধযুক্ত পানি মাড়িয়ে রিকশায় চলাচল করলেও মঙ্গলবার রাতের বৃষ্টিতে আবার পানি বেড়েছে। ফলে এলাকার বাসিন্দারা ভোগান্তিতে পড়েছেন।

গত কয়েক দিনে সুরমার পানি কমেছে, তবে চোখ রাঙাচ্ছে কুশিয়ারা নদী। এ নদীর পানি বেড়ে গিয়ে সিলেটের ছয়টি উপজেলা প্লাবিত হয়েছে।

১৫ জুন থেকে শতাব্দীর ভয়াবহ বন্যায় সিলেট মহানগরীর অধিকাংশ এলাকা, পাঁচটি পৌরসভা, ১৩ উপজেলার ১০৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ৯৯টিই বন্যা কবলিত হয়।

বিশেষ করে বালাগঞ্জ, ওসমানীনগর, ফেঞ্চুগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, গোলাপগঞ্জ, কোম্পানীগঞ্জ, জকিগঞ্জ, জৈন্তাপুর ও গোয়াইনঘাটের অসংখ্য গ্রাম এখনও পানিতে তলিয়ে আছে। গ্রামীণ রাস্তাঘাট নিমজ্জিত হয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

সিলেটের জেলা প্রশাসক মজিবর রহমান জানান, সিলেট জেলায় বন্যায় চার লাখ ১৬ হাজার ৯৬৬টি পরিবারের ২১ লাখ ৯৬ হাজার ৯৬৫ জন মানুষ বন্যাক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩০ হাজার ৯৪০টি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

দুর্গত এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।