বাগেরহাট সদর উপজেলার কড়রি গ্রামে কয়েক বছর আগে বাণিজ্যিকভাবে গড়ে ওঠে এভারগ্রিন নামে একটি ডেইরি ফার্ম। এই খামারে এ বছর বিক্রির জন্য ছোট বড় মিলিয়ে ৪০টি গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। এসব গরু লালন-পালনে ব্যস্ত সময় পার করছেন খামার মালিকরা।
এছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ছোট বড় মিলিয়ে ৫০টি’র অধিক গরুর খামার রয়েছে। অনেকে বিক্রির জন্য বাড়িতে গরু লালন-পালন করে থাকেন।
এভারগ্রিন ডেইরি ফার্মের ব্যবস্থাপক হাসান গাজী বলেন, “গত দুই বছর করোনার কারণে খামারের লালন-পালন করা গরু বিক্রি করতে অসুবিধায় পড়তে হয়। এ বছর পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক রয়েছে। এ বছর বিক্রির জন্য ৪০টি গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। এসব গরুর ওজন ৬০০ থেকে সাড়ে ছয়শ কেজি হবে; দাম ২ লাখ ৮০ হাজার থেকে তিন লাখের উপরে হবে। এ বছর ভাল দাম পাওয়ার আশা করছি।“
“খামার থেকেও গরু বিক্রি হচ্ছে। তবে স্থানীয় বাজারেও বিক্রির চিন্তা রয়েছে। এ বছর পশু খাদ্যের দাম অনেক বেশি।” যোগ করেন তিনি।
বাগেরহাট প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. লুৎফর রহমান জানান, বাগেরহাট জেলায় এ বছর ২২টি স্থানে গবাদি পশুর হাট বসছে। ৪০ হাজার গবাদি পশু ও ১৭ হাজার ছাগল প্রস্তুত করেছে খামারিরা। গত দুই বছর মহামারীর কারণে খামারিরা হাটে পশু বিক্রি করতে পারেনি। এ বছর করোনাভাইরাসের প্রভাব না থাকায় তারা হাটে যেয়ে পশুর বিক্রির চিন্তা করছেন।
তিনি আরও বলেন, বাগেরহাটের সবচেয়ে বড় দুটি পশুর হাট বসবে ফকিরহাটের বেতাগায় এবং মোল্লাহাটের উদয়পুরে। এখানে সবচেয়ে বেশি গবাদি পশু বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন খামার মালিকরা। পশুর হাটে খামারিদের বেচাকেনা করতে যাতে কোনো অসুবিধা না হয় সেজন্য প্রশাসন সহযোগিতা করবে।
প্রতিটি পশুর হাটের জন্য একটি করে ভেটেনারি মেডিকেল টিম থাকবে। অনেক খামারি গরু মোটাতাজা করতে হরমোনযুক্ত ওষুধ ব্যবহার করে থাকেন, কিন্তু বাগেরহাটে তা কেউ করেননা বলে জানান এ প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা।